করোনা সংক্রমণের শুরুতে অতোটা সংক্রমিত না হলেও সম্প্রতি ক্যাম্পাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নীতি বাস্তবায়নে তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের পরিবারের দুই সদস্য এবং উপাচার্যের অফিসের এক কর্মকর্তার পরিবারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, দপ্তরের অন্তত ২০টি পরিবারের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) ক্যাম্পাসে সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের নিয়ে ক্যাম্পাসে টহল দেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। এ সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, মাস্ক ছাড়া ক্যাম্পাসে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয়ার বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপ করেন প্রক্টর।

প্রক্টর অফিসসূত্রে জানা গেছে, মাস্ক ব্যবহারসহ ক্যাম্পাসে সামাজিক দূরত্ব এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সার্বক্ষণিক ৬টি মাইকে আহ্বান জানাচ্ছে প্রক্টরিয়াল টিমের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি বহিরাগতদের বিনা প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার জন্য বলা হচ্ছে। আর ক্যাম্পাসে কাজের জন্য আসা লোকদেরকে মাস্ক পড়া এবং শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্যের অফিসের কর্মকর্তাসহ আরো বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন কর্মকর্তারা। দফতরে দফতরে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে ‘‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’’ নির্দেশনা।
বহিরাগত ও ভাসমান দোকানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে হিসেবে ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান নিয়ন্ত্রণেও তৎপরতা চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, সরকার এবং বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও অনেকেই আছেন যারা মাস্ক পরে চলেন না। তারা দূরত্ব বজায় রেখে চলছে না। বিশেষ করে টিএসসিতে সহযোগিতা কম পাচ্ছি। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় হাতধোয়ার ব্যবস্থা করা হলেও শৈথিল্য দেখানো হচ্ছে, অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বহিরাগতরাও অযথা ক্যাম্পাসে এসে আড্ডা দিচ্ছে। গাড়ি নিয়ে আসছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে এগুলো খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। ফের এমন করা হলে গাড়িগুলো পুলিশে দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমাদের সচেতনার জায়গাটা যেন কোনো ঠিক থাকে সেজন্য ক্যাম্পাসে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ চালু রয়েছে। আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি। মাস্ক পড়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এখন পর্যন্ত সর্বোত্তম কার্যকরি আমাদের জন্য। তাই এটা অনুসরন করা জরুরি। সেজন্যই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখছি।