বিশেষ প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম -বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের দমাতে রেখেছেন অনন্য ভূমিকা।ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর।তার ব্যতিক্রম ঘটেনি চট্টগ্রামেও।
৪অগাস্ট সকাল ১০ টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবি আদায়ে চট্টগ্রামের নিউমার্কেটে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।ঘন্টাখানেক অবস্থানের পর হঠাৎই সরকারি সিটি কলেজ ও কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ধারালো দা,ছুরি ও অগ্নি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় শিক্ষার্থীদের উপর।ওই হামলায় নিহত হন চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাওসার মাহমুদ।গুলিবিদ্ধ হন একাধিক শিক্ষার্থী।
এই হামলায় কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুনায়েদ এর নেতৃত্ব অংশ নেন সহ সভাপতি শেখ শফিউল আজম মুন্না,অনিক দত্ত সহ,বাবু সহ একাধিক পদদারী নেতা
এছাড়াও লালদিঘি ও কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় হামলাকালে সরাসরি অংশ নেয় কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শেখ শফিউল আজম মুন্না।।

আওয়ামীলীগের শাসনামলে দলীয় পদ ব্যবহার করে মুন্না টেন্ডার ও তদবির বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।আর সেই টাকা দিয়েই তিনি গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
তৎকালীন ১৭ নং রোডের শ্রমিক লীগ নেতা জানে আলমকে ব্যবহার করে নতুন ব্রীজ টু নিউমার্কেট রুটে তিনটি মাহেন্দ্রা গাড়ি নামান তিনি।এছাড়াও রিয়াজুদ্দিন বাজারে মোবাইল এক্সেসরিজ এর দোকান সহ একাধিক জায়গায় ইনভেস্ট রয়েছে তার।
শফিউল আজম মুন্না ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরের অনুসারী।তৎকালীণ সময়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মুন্না ৩৪ নং ওয়ার্ড এর বিএনপির সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালী সহ একাধিক সিনিয়র নেতাদেরও মারধর করেন।
সবছাপিয়ে প্রশাসনের নাগের ঢগায় বসে এখনো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রমে সক্রিয় তিনি।যোগাযোগ রয়েছে নগর পর্যায়ের একাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে।রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. করিম বলেন,’নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধরা আমাদের অব্যহত আছে,কোনরূপ বিশৃঙ্খলা কিংবা কর্মতৎপর হলেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব।কোন অবস্থাতেই তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা”।




