বিজিএমইএ নির্বাচনে চৈতি গ্রুপের আবুল কালাম সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল নেতা
এইচ এম মাহমুদ হাসান।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর আগামী নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিড়ার হলেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম।
কালাম বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ও এর আগে ২০১২-১৩ মেয়াদে বিজিএমইএর পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া তিনি ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মেয়াদে উত্তরা ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু হোটেল উৎসব হলে এক অনুষ্ঠানে সম্মিলিত পরিষদের প্রাক্তন সভাপতিরা আবুল কালামকে প্যানেল নেতাকে শিল্প মালিকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এস.এম. ফজলুল হক, রেদওয়ান আহমেদ, কাজী মনিরুজ্জামান, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, খন্দকার রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন কালামের নেতৃত্ব গার্মেন্টস সেক্টরের আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং রপ্তানি আয়ের নতুন উচ্চতা অর্জনে সহায়তা করবে।
এসময় তারা ১৯৭৮ সালের জুলাই থেকে এই অ্যাসোসিয়েশনের ৪৬ বছরের যাত্রায়, ২০ জন সভাপতি পেয়েছেন তারা। এদের মধ্যে ১৬ জন সভাপতি সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্বাগত বক্তব্যে, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান সেক্টরের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন, সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব সবসময় শিল্পের অগ্রগতির দিকে মনোনিবেশ কারী নিবেদিতপ্রাণ উদ্যোক্তাদের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই নেতৃত্ব এই খাতের বার্ষিক রপ্তানি ৳৪৬ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর চরম পর্যায়ে বিজিএমইএ সদস্যরা তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের বোর্ড সদস্যদের সমন্বিত প্রচেষ্টা, ব্র্যান্ড, ক্রেতা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তায়, আমরা সফলভাবে মহামারীর চ্যালেঞ্জগুলিকে নেভিগেট করেছি এবং ব্যবসায়িক বৃদ্ধির গতিপথে ফিরে এসেছি।
ব্যবসার পরিবেশকে সহজ করতে আমরা বেশ কয়েকটি নীতি সহজ করার জন্য সরকারের সাথেও কাজ করেছি। এরমধ্যে ছিল- বন্ড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স এবং ইপিবি সার্টিফিকেটের মেয়াদ এক বছর থেকে সবোর্চ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো।
তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা এবং বিভিন্ন বাণিজ্য ব্লকের সাথে চুক্তির অধীনে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা পেতে ইপিবি সনদ অপরিহার্য।
এছাড়া শিল্পের ওয়েস্টেজ (অপচয়) গণনাকে সহজ করতে সক্ষম হয়েছি।
আমরা (বিজিএমইএ) ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনাও তৈরি করেছি। এই রোডম্যাপটি স্বল্প-মেয়াদী, মধ্য-মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদে সেক্টরাল প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা চিহ্নিত করেছেন বলে উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন সেক্টরের এই লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি বৈশ্বিক ও স্থানীয় উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শক্তিশালী নেতৃত্বের জরুরি প্রয়োজন আর সম্মিলিত পরিষদের রয়েছে এই ধরনের নেতৃত্ব দানের সক্ষমতা।
প্যানেল লিডার আবুল কালাম বলেন, “এই মুহূর্তে এই খাতের জন্য স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা, রপ্তানি কার্যক্রম টিকিয়ে রাখার জন্য বাংকের আর্থিক সহায়তা এবং শিল্পকে সচল রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন।”
তিনি যোগ করেন, “বিজিএমইর সদস্যরা যদি নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের প্যানেলকে নির্বাচিত করেন তা হলে আমরা আশাবাদী যে, সরকারের সহায়তায় আমরা সমাধান খুঁজে বের করবো। ।”
তিনি বলেন, “সম্মিলিত পরিষদ ধারাবাহিকভাবে একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি হিসেবে কাজ করে, বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে ওঠতে এর অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
গত ২০ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে, ১২০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়।