ভারতের হরিয়ানায় মসজিদ জ্বালিয়ে ইমাম হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ভারতে উগ্রবাদী বিজেপি সন্ত্রাসীদের হাতে সংখ্যালঘু মুসলিম নিধনের সংবাদ বারবার বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম হওয়ার পরও এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য মোদি সরকার অনুতপ্ত না হয়ে মুসলিম নিধনের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে। ভারতের মোদি সরকারকে মনে রাখতে হবে ভারতবর্ষ মুসলমান শাসকগণ সাড়ে সাতশত বছর শাসন করেছে। মুসলিম শাসকগণ যদি মনে করতেন ভারতকে হিন্দু শূণ্য করা তাহলে আজ মোদির ঔদ্ধত্য কোথয় যেত? মুসলমানগণ বরাবরই শান্তিপ্রিয়। ইসলাম সকলের জন্য শান্তি নিশ্চিত করেছে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, উগ্রবাদী বিজেপি সরকার যদি মুসলমান শূণ্য করার খেলায় মেতে উঠেন, তাহলে বিশ্বের দুইশ কোটি মুসলমান নিরবে বসে থাকবে না। ভারতের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দেশে দেশে মুসলমানদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠলে ভারতের কিছু করার থাকবে না।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর আরও বলেন, উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলমানদের বিভিন্ন অজুহাতে হত্যা করছে। এখনও বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে মুসলমান বাংলাদেশীদের হত্যা করছে। কয়েকমাস আগে জুনায়েদ ও নাসির নামে দুইজন মুসলিম যুবককে তাদের গাড়ির ভিতর জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল।
সম্প্রতি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) একটি শোভাযাত্রা চলাকালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মসজিদের ইমামসহ পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে এবং আগুন দিয়ে আঞ্জুমান জামে মসজিদটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। গেরুয়া পতাকা ধারী উগ্রপন্থীরা মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। দিল্লির অদূরে মুসলিম অধ্যুষিত নূহ ও গুরগাঁও এলাকায় মূলত প্রশাসনের প্রকাশ্য মদদেই সে দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর জুলুম- নির্যাতন চলছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। এভাবে হত্যা নির্যাতনের মাধ্যমে কসাই মোদির সরকার ধর্মনিরেপক্ষতার আসল চরিত্র প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, উগ্রবাদী হিন্দুরা চার্চ ভাংচুর করে মুসলমানদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। মুসলিম যুবকদের জোর করে হিন্দু দেবতাদের নামে জয়শ্রীরাম শ্লোগান দিতে বাধ্য করছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ভারতের এধরণের রাষ্ট্রীয় জুলুম বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ বরদাশত করতে পারে না। ভারত সরকারকে মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বের মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের পণ্য বর্জনসহ ভারতকে বয়কট করার কর্মসূচি নিতে হবে। ভারতের ঔদ্ধত্য সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। এছাড়া মুসলমানদের সামনে কোন পথ খোলা নেই।