আল আমিন, ভোলা প্রতিনিধি: মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেল চারটায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজকে হারিয়ে ভোলা সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করেন।
দেখা গেছে, মাঠের চারপাশে কানায়-কানায় ফুটবল প্রেমী দর্শকের উপস্থিতিতে ৬০ মিনিটের খেলার প্রথমার্ধে ভোলা সরকারি কলেজ ও বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ একে অপরের দিকে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে গেলেও কোনভাবেই কেউ কাউকে পরাজিত করতে পারছিলো না। হঠাৎ করে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের খেলোয়াড়দের পা থেকে ভোলা কলেজের গোলরক্ষকের জালে বল ঢুকে এক গোলে এগিয়ে যায় বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ। ৩০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার সাথেই রেফারির বাশির আওয়াজে শেষ হয় খেলার প্রথমার্ধ।
এরপর বিরতি শেষে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের দিকে আক্রমণের পর আক্রমণ চালাতে থাকে ভোলা সরকারি কলেজের খেলোয়াড়রা। কোনভাবেই ভোলা সরকারি কলেজ গোল করতে না পেরে একপর্যায়ে হতাশা নেমে আসে তাদের খেলোয়াড়দের মাঝে। এরপরেও হাল ছাড়িনি ভোলা সরকারি কলেজ। অবশেষে খেলা সমাপ্তি ঘটার ৩ মিনিট আগে ভোলা সরকারি কলেজের খেলোয়াড়দের পা থেকে বল চলেযায় বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের গোলরক্ষকের জালে। মুহুর্তের মধ্যে রেফারির বাঁশির শব্দে পুরো ৬০ মিনিটের খেলার সমাপ্তি ঘটে। এতে করে ১-১ গোলে খেলার ফলাফল ড্র হলেও ট্রাইবেকার গিয়ে ভোলা সরকারি কলেজের গোলরক্ষকের অসাধারণ দক্ষতা উন্নয়ন নৈপূর্ণতার মধ্য দিয়ে ৩ গোলে চ্যাম্পিয়নশিরোপা অর্জন করেন ভোলা সরকারি কলেজ।
খেলা শেষে ফুটবল টুর্ণামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভোলা সরকারি কলেজ ও বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দূর-দূরান্ত থেকে আসা দুই কলেজের শিক্ষার্থীসহ ফুটবল প্রেমী দর্শকবৃন্দ।
এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ভোলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সাথে প্রাইজমানি হিসাবে তুলে দেয়া হয় ২৫ হাজার টাকার চেক। ও রানারআপ ট্রফির সাথে দেয়া হয় ১৫ হাজার টাকার চেক।