এইচ এম মাহমুদ হাসান- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের কারসাজিতে পেঁয়াজ ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষের জীবন জর্জরিত হলেও এ মুহূর্তে মাথাব্যথার কারণ হলো পেঁয়াজ ও চিনির অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে পেয়াজ, আদা, চিনি পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। পাইকার, আড়তদার ও মোকাম মালিকরা ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ, আদা ও চিনির মজুত গড়ে তুলেছেন।
সিন্ডিকেটের একটেটিয়া নিয়ন্ত্রণে নিত্যপণ্যের বাজার, গত এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তিনগুণ। ৩০-৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়, ৮০ টাকার চিনির দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা, আসন্ন কোরবানির ঈদে এই মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা অনুমান করাও দুরূহ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় চিঠি চালাচালি ছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না। ২৬ মে’২৩ শুক্রবার বিকাল চারটায় রাজধানীর ভাটারাস্থ আসসাঈদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মাছউদুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, আরমান হোসাইন, হাজী আলাউদ্দীন, আবু হানিফ, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, জুনায়েদ, শফিকুর রহমান প্রমুখ।