ফজিলতপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে শাবান মাসজুড়ে রোজা রাখা। হাদিসে রোজা রাখার বহু ধরনের সওয়াবের কথা বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া এ মাসে ‘আইয়ামে বিজ’র রোজাও গুরুত্বপূর্ণ, যা প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখা হয়। এ রোজাকে আইয়ামে বিজ’র রোজা বলে। এই রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আছে সাপ্তাহিক সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা। এ রোজা রাখাও সুন্নত।
এ ছাড়া শাবান মাসের ১৫ তারিখ বিশেষভাবে রোজা রাখার কথা দুর্বল হাদিসের একটি সূত্রে পাওয়া যায়। হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, সেই হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে, তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ ১৩৮৪)
চলতি মাসে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি রাত রয়েছে। কোরআনের ভাষায় এটাকে লাইলাতুম মুবারকা বলে। আমাদের দেশীয় পরিভাষায় ‘শবে বরাত’ বলা হয়। বিভিন্ন হাদিসে এ রাতের ফজিলতের আলোচনা এসেছে-
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে হিব্বান ৫৬৬৫)
শবেবরাতের বিশেষ কোনো আমল নেই। তবে বিশুদ্ধ মতানুসারে এই রাতে একাকি আমল করার কথা রয়েছে। তবে স্বাভাবিক নিয়মে ফরজ নামাজ অবশ্যই মসজিদে পড়তে হবে। এবং জামাতের সঙ্গে আদায় করা জরুরি। তাছাড়া কোনো নফল ইবাদত-বন্দেগি করতে ইচ্ছে হলে— নিজ নিজ ঘরে একাকি আদায় করবে।
তবে এ রাতে দীর্ঘ নামাজ পড়া, দীর্ঘ সিজদা করা এবং দোয়া-ইস্তেগফার করার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।’ (বায়হাকি: ৩/৩৮২, ৩৮৩)
এস.আই/