দেশে একের পর এক বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগনকে সংকটে ফেলে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুতে বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে কয়লা কিনতে গিয়ে দিনে প্রায় ১৬ কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে সরকার কাকে খুশি করতে চায়? বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বেশি দাম দিয়ে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের কয়লা কেনা হচ্ছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায় গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার জন্য বাংলাদেশকে যে দাম দিতে হচ্ছে তা অন্য যেকোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, দেশের জনগণের অর্থ লুটপাট করে ভাগবাটোয়ারা করতে সরকারের মধ্যে থাকা লুটেরাদের আখের গোছাতে ভারতীয় আদানী গ্রুপের সাথে এমন চুক্তি করেছে? দেশের জনগণের অর্থ লুটপাটের এমন চুক্তি সংশোধন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে যৌক্তিকভাবে পুনর্মূল্যায়ন করা না হলে দেশের জনগণ আদানী গ্রুপের সাথে করা অসম চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারী, বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির আরো বলেন, দেশের মানুষ যখন তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চরম সংকটে দিনাতিপাত করছে তখন আদানির সঙ্গে এই চুক্তি সুইসাইডাল বা আত্মহত্যার শামিল।
অনেক বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই বলেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর আগে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যে কয়লার দাম ধরিয়ে দিয়েছে তা দেশের অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাহাজ ভাড়াসহ গোড্ডায় ব্যবহৃত কয়লার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০ ডলার, আর তারা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে ৪০০ ডলারে বিক্রি করতে চাইছে।
এস.আই/