আল আমিন,ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী, ১ নং ওয়ার্ডে গত ১১জানুয়ারি ২০২৩ মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এক সন্তান সহ প্রবাসী স্বামী মাকসুদের গচ্ছিত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিক শাহাদাত হোসেন বাচ্চুর হাত ধরে পালিয়েছে খাদিজা বেগম নামের এক গৃহবধূ।
পালিয়ে যাওয়া খাদিজা বেগম ও শাহাদাত হোসেন বাচ্চুর বাড়ি চরফ্যাশন লেতরা বাজার সংলগ্ন। বাচ্চু লেতরা বাজার ডিস ক্যাবলস এর ব্যবসা করে বলে জানা যায়। পরক্রিয়া করে প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উভয়ের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ১ নং ওয়ার্ডে রুলামিন মাতাব্বর এর ছেলে মাকসুদের সঙ্গে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে খাদিজা বেগমের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে আরাবি(০৩)নামের তাদের একজন পুত্র সন্তান রয়েছে। মাকসুদ জীবিকার প্রয়োজনে ২০২২ সালে সৌদি পাড়ি জমান। মাকসুদ সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে খাদিজা বেগমের মোবাইলে পরক্রিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ওই সম্পর্কের জেড় ধরেই গত ১১ জানুয়ারি সকাল ১০ ঘটিকার সময় ফুফাতো বোনের বিয়ের কথা বলে বোনের সাথে বাড়ি থেকে সন্তান আরাবিকে সহ খাদিজা বেগম পালিয়ে যায়। ১ দিন পর জানা যায় প্রেমিক শাহাদাত হোসেন বাচ্চুর সাথে পালিয়ে ঢাকা চলে গেছে। শাহাদাতের সাথে পালিয়ে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেন খাদিজা। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাদিজার চাচী, ফোনকলের মাধ্যমে খাদিজার সাথে কথা বলে।
খাদিজা বেগমের প্রবাসী স্বামী মাকসুদ বলেন, সংসারের অভাব দূর করতে এবং স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা ভেবে ২০২২ সালে বিদেশে পাড়ি জমাই। এখানে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করে প্রত্যেক মাসে ৩০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছি। প্রবাসে থাকাকালে বেশিরভাগ সময়ে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে ব্যস্ত পাই। কার সঙ্গে কথা বলছো জানতে চাইলে, সে বলতো তার বাপের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেছে। ১১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ রাত ১০ টার দিকে আমাকে ফোনে বলে আমার বোন আসছে আগামীকাল তার ফুফাতো বোনের বিয়ে তাকে সেইখানে যেতে হবে।এই বলে বাসা থেকে বের হয়। বিকালে আমার স্ত্রী ফোনে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাই, বিকাল ৫ টার সময় শুনতে পাই আমার স্ত্রী তাদের ফুফাতো বোনের বাসায় যায়নি। পালিয়ে গেছে।
মাকসুদ আরও বলেন, সে আমার নিষ্পাপ এক সন্তান সহ প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেছে। যাওয়ার সময় ৫ ভড়ির অধিক স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিলো।তার একাউন্টে থাকা প্রায় (৫০০,০০০)পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এখন আমি আমার সন্তানকে ফিরে ফেতে চাই। এই বিষয়ে আমার মা- বাবাকে বলি থানায় একটি জিডি করতে।
প্রেজেন্ট নিউজ প্রতিনিধি এবিষয়ে জানতে, বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে(ওসি) একাধিক ফোন কল করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এস.আই/