মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৮১ জনের নাম উল্লখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এগারো থেকে বারোশো জনকে আসামি করে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে সদর থানায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক হয়েছে ৮ জন। এর মধ্যে জামায়াত সদস্য দুই জন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৪-ডিসেম্বর) পঞ্চগড় জেলা বিএনপি ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল আয়োজন করে। এতে মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পুলিশ বিএনপি নেতা কর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের রূপ ধারণ করে। এতে পুলিশ ও বিএনপি’র অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।
আবার একই সময় সদর উপজেলার জগদল বাজার ও টুনিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত। স্থানীয় সাধারণ মানুষ জানান, বার বার বিকট শব্দে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরি। টিয়ার সেল ও ককটেলের ঝাঁঝালো গ্যাসের কারনে আমরা কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। মহাসড়কের উপর বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে থাকে। বিএনপি সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরন ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল ও শর্ট গাণের ফায়ার করে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
উপস্থিত বিএনপির নেতা কর্মীরা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের একজন সক্রিয় সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এবং শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছে । এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ একাধিক নেতা কর্মীদের আটক করেছে ।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার পঞ্চগড় এস,এম, সিরাজুল হুদা, পিপিএম বলেন, বিএনপি নেতা কর্মীরা সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। পরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় ২০/২৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৮/১০ জন পুলিশ সদস্য। যে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন তিনি পর পর তিনবার ওপেনহার্ড সার্জারি করা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তিনি স্বাভাবিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরে। এবং হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ রিলেটিভ ৫টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত এগারো থেকে বারোশো জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কাউকে অযথা হয়রানি না করে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বোলে জানিয়েছেন তিনি।
এন.এইচ/