রেজাউল করীম, চরমোনাই মাদরাসা প্রতিনিধি:
আজ স্বাধীনতার একান্ন বছর বয়স পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্তমান সরকার কোন মুখ্য ভূমিকা পালন করছে না বরং তারা দেশের শাসন ক্ষমতায় বসে দেশর সার্বভৌমত্বকে ধ্বংসের দিকে ঢেলে দিচ্ছে। আজকে দেশের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করছে ক্ষমতাসিন এই সরকার, যারা দিনের ভোট রাতে চুরি করে আজ শাসনভারে বসে আছে।
১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই কওমিয়া শাখার উদ্যোগে চরমোনাই মাদরাসা অডিটোরিয়ামে ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ ও পদ্ধতি’ শীর্ষক সভা এবং নাশীদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শীর্ষক সভা ও নাশীদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এর বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আজকে শতকরা ৯২% মুসলমানের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাতিল করার চক্রান্ত চলছে । এদেশের শিক্ষার্থীরা যে দেশের সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করার চক্রান্ত করছে সেই দেশে তাদের ক্ষমতার আসনে দেখতে চাচ্ছে না । বর্তমান সরকার মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করছে। অতএব এদের ধারা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম হবে না। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে হলে সেই নববী আদর্শের আদর্শে আদর্শবান হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম,আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মাওলানা মোঃ আব্দুল কাদের, খলিফা পীর সাহেব হুজুর চরমোনাই রহ.এবং মাওলানা মোঃ মুজিবুর রহমান, খালিফা পীর সাহেব চরমোনাই রহ.।
বার্ষিক সভা ও নাশীদ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ হোসাইন আহমাদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শাখার সাবেক বর্তমান নেতৃবৃন্দগন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই কওমিয়া শাখার সভাপতি সৈয়দ ফজলুল করীম মুজাহিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই কওমিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্ররা যেকোনো দেশের সবচেয়ে সচেতন ও প্রগতিশীল অংশ। দেশকে অর্থাৎ জাতিকে সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে ধাবিত করতে ছাত্রসমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একজন আদর্শিক ছাত্রের সাধনা হলো বিনয়ী, সৎ, দেশপ্রেম, মুক্তমনা, আত্মত্যাগী ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার সাধনা। তাই চিন্তাচেতনা ও শিক্ষায় অগ্রগামী এ ছাত্ররাই দেশ ও জাতির সেরা সম্পদ। আজকের ছাত্ররাই জাতির আগামী দিনের পথপ্রদর্শক। যেকোনো দেশের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার আলোকেই ছাত্ররা তাদের দেশ গঠনের কার্যক্রম নির্ধারণ করে।
তিনি বলেন, ছাত্ররা তোমাদের দিকে জাতি তাকিয়ে আছে দেশ তথা জাতি ভবিষ্যৎ। অতএব তোমারা নবাবী আদর্শে আদর্শবান হয়ে দেশের হাল তোমাদেরই ধরতে হবে। এবং স্বাধিনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে তোমাদেরই একদিন বসতে হবে। দেশ পরিচালনার ভার তোমাদের হাতে একদিন ন্যাস্ত হবে। তোমরা বড় করে স্বপ্ন দেখো, তাহলে একদিন তোমরাই সুন্দর জাতি উপহার দিবে। ইনশাআল্লাহ!