মোকলেছুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সরকারী কলেজ সংলগ্ন ছাত্রাবাস থেকে তরুণী সহ কলেজের এক অফিস সহকারীকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে এলাকাবাসী।
আটক ঐ ব্যক্তির নাম মোঃ আব্দুল কাদের, তিনি নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত। তিনি কচাকাটা থানার তরীরহাট এলাকার মোঃ মশিউর রহমানের ছেলে, তার সাথে থাকা ছাত্রীর বাড়ি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায়।
মেয়েটি নাগেশ্বরী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের এক শিক্ষক জানান, আব্দুর কাদের প্রায় চার বছর ধরে কলেজের পাশে মদিনা ছাত্রাবাসে থাকতো।
রোববার দুপুরে এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে ছাত্রাবাসে ঢুকে প্রায় দু’ঘন্টায় বের না হলে আশপাশের লোকজন দরজায় ডাকাডাকি করলে সে সাড়া দেয়নি, পরে ওই কলেজের শিক্ষক ও পাশের ছাত্রী নিবাসের মালিক সেখানে গিয়ে ডেকে বের করলে সে তাদের হাত-পা ধরে, ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়।
কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে উত্তেজিত হয়ে আব্দুল কাদেরকে উত্তম-মধ্যম দেয়।
মেয়েটি সহ সবার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয় তাকে, এসময় মেয়েটি জানায়, কাদেরের সাথে তিন বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক।
এর আগেও তারা সেখানে দেখা করেছেন, আটকের সময় দু’জনে বিয়ে করতে না চাইলে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ছাত্রাবাসের আশেপাশের বাসিন্দারা জানান, আব্দুল কাদেরের এমন ঘটনা অতীতেও ঘটিয়েছেন। ছাত্রীনিবাসের একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে।
মেয়েদের নানারকম কু প্রস্তাব দেন তিনি, বিষয়টি ছাত্রী নিবাসের মালিকদেরও জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ছাত্রীনিবাসের এক মালিক বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
নাগেশ্বরী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান মোঃ খাদেমুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। কলেজের অধ্যক্ষকে জানানো হবে। তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন”।
এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না,
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কাদেরের মতামত জানতে একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।