ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার গেট অবরুদ্ধ ও ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আলিয়া মাদ্রাসার প্রাচীর ভেঙে গোপনে ক্যাম্পাস প্রশানের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসা তাদের জমি নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। বিষয়টি প্রকাশ পেলে
আজ তারা এর প্রতিবাদে আন্দোলন করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, আমাদের আলিয়া মাদ্রাসায় সামান্যটুকু জমি খালি নেই। আমাদের হলে পর্যাপ্ত আবাসন ও সুযোগ নেই। আমরা আমাদের নতুন হলের জন্য আন্দোলন করছি। সেখানে কিভাবে ওয়াসাকে জমি দেওয়া হচ্ছে? অতীতেও নানা কারণে আমাদের অধিকাংশ সম্পত্তি দখল হয়ে গেছে। আমরা আর কাউকে এক ইঞ্চি জমি দিবো না।
আরেক শিক্ষার্থী রায়হান জানায়, অতীতেও অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে আমাদের মাঠ দখল করা হয়েছে এবং অধিদপ্তরের নামে জমি দখলের চেষ্টা হয়েছে। আমরা কাউকে জমি দিবো না। কেউ যদি জোর করে দখলের চেষ্টা করে তাদের আমরা উপযুক্ত জবাব দিবো।
রাফি নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, যে যেভাবে পারছে আমাদের জমি নিতে চাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। আমরা আর কাউকে আমাদের জমি দিতে চাই না। আমরা চাই আমাদের সুন্দর পড়ার পরিবেশ। আমাদের হলে রিডিং রুম নেই। মসজিদ নেই। আমাদের এগুলো করে দেওয়া হোক।
মাদ্রাসা সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন পূর্বে আলিয়া মাদ্রাসার আল্লামা কাশগরী হলের সীমানা প্রাচীরের পূর্ব পাশে পাম্প স্থাপনের জন্য জমি মাপের কাজ শেষ করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওয়াসাকে জমি দেয়ার পেছনে মাদ্রাসার স্থানীয় কাউন্সিলর এবং কিছু প্রভাবশালী মহল জড়িত।
বিক্ষোভের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যপক নাসীর উদ্দিন বলেন, ‘আলিয়ার সম্পত্তি রক্ষার যে আন্দোলন সেটার সাথে আমিও একমত। আমাদের অধ্যক্ষ স্যার মাদ্রাসা বোর্ডের মিটিংয়ে আছেন, তিনি আসলে আমি তোমাদের বিষয়ে কথা বলব। তোমরা শান্তিপূর্ণভাবে হলে ফিরে যাও’। এরপর হলে ফিরে যান আন্দোলনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ বলেন, ওয়াসা আমাদের কাছে জমি চেয়েছে, আমরা এখনো তাদের কোনো সিদ্ধান্ত দেইনি। আগামীকাল সোমবার ছাত্রদের সাথে বসব এবং তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। আমরা সব সময় ছাত্রদের পক্ষে।