বৃষ্টির রিনি-ঝিনি শব্দ আর দমকা হাওয়ার আবহ সঙ্গীতে ঢাকার ছায়ানট মিলনায়তনে চলছিল বর্ষা বন্দনা, প্রকৃতিতে ভাদ্র মাসের গরমের উত্তাপ থাকলেও কবিতা আবৃত্তি আর সঙ্গীতের মুর্ছনায় বর্ষার আমেজ প্রাণ ছুঁয়ে যায় দর্শক-শ্রোতাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছায়নটের মিলনায়তনে বর্ষা বন্দনার অনুষ্ঠান ‘বাদল-ধারা হলো সারা’ আয়োজন করে কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র।
তিন পর্বে বিভক্ত আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ এবং সমকালীন কবিদের লেখা থেকে আবৃত্তি করেন শিল্পীরা।

কিন্তু ভাদ্র মাসে বর্ষা বন্দনা কেন- এমন প্রশ্নে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম নাজু বলেন, “প্রতি বছর বর্ষা ঋতুতেই ‘বর্ষা বন্দনা’ অনুষ্ঠানটি করা হয়। কিন্তু এবার আবেদন করেও শিল্পকলা একাডেমিতে যথাসময়ে মিলনায়তন বরাদ্দ পাইনি।
“ছায়ানট মিলনায়তনটি এই মাসে বরাদ্দ পাওয়ায় ভাদ্র মাসেই বর্ষা বন্দনা অনুষ্ঠানটি করেছি। করোনাভাইরাসের সময় অনলাইন প্লাটফর্মেও আমরা এই আয়োজন করেছি।”

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সমকালীন কবিদের লেখা থেকে ‘আকাশ ভেঙে বৃষ্টি’ শিরোনামে কবিতা আবৃত্তি করেন রানা আহমেদ, সামিউল আজিজ, শহীদুল ইসলাম রাজু ও ফৌজিয়া অনু। তারা শহীদ কাদরী, খোন্দকার আশরাফ হোসেন, এনামুল হক, ফাহিমুল ইসলাম, রেহান রাসুল, মারুফুল ইসলাম, রামচন্দ্র পাল, কাজী মেহেদী হাসানের কবিতা আবৃত্তি করেন।
দ্বিতীয় পর্বে ‘বৃষ্টির রূপালি জল’ শিরোনামে জীবনানন্দ দাশের কবিতা দিয়ে বর্ষা বন্দনায় মাতেন আশরাফুল হাসান বাবু, কাজী বুশরা আহমেদ তিথি, মাহমুদুল হাসান, শাহজাদা সম্রাট ও হুর এ জান্নাত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নিয়ে ‘বাঁধন-হারা বৃষ্টিধারা’ শিরোনামে সাজানো হয় তৃতীয় পর্বটি। এতে আবৃত্তি করেন ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, শহিদুল ইসলাম নাজু, ভিনসেন্ট তিতাস রোজারিও এবং চিত্রা রোজারিও।

অনুষ্ঠানটি গ্রন্থণা করেন আশরাফুল হাসান বাবু, নির্দেশনা দেন ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীতে কণ্ঠ দেন মনজু রশীদ ও তারান্নুম আহমেদ কুহু। বাঁশিতে ছিলেন অপু আর আবহ সঙ্গীতে ছিলেন রাজিব হাসান রানা।






