ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, বাংলাদেশে একটি মহল বিভিন্নভাবে দেশ ও ইসলামকে নিয়ে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সরকার একদিকে মদের উন্মুক্ত বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা করছে অপর দিকে শিক্ষা সিলেবাস থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সব মিলিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ চরম উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে। এমতাবস্থায় সরকারের অযৌক্তিক ও ভুল কাজে সমালোচনা করা নাগরিক দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশে এ অধিকার চরমভাবে খর্ব করা হচ্ছে।
বুধবার ২০ এপ্রিল রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ভোজন রেস্তোরাঁয় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত “সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও বন্ধুপ্রতীম ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্মানে ইফতার মাহফিল”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই দৃশ্যমান। যার বলি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঠুনকো ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের উপর প্রশাসনের বর্বরোচিত হামলা দুঃখজনক। তিনি ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলমান ঘটনার তদন্ত চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্র নেতা নূরুল করীম আকরাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নামাজের জায়গা চেয়ে আবেদন যৌক্তিক। কিন্তু নামাজের জায়গা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি দেয়া অসাংবিধানিক আচরণ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল মত ও পথের সমান সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।
ইফতার মাহফিলে অন্যান্যদের মাঝে আরোও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম, শেখ ফজলে বারী মাসউদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুস সবুর, উর্দু বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. রশিদ আহমাদ, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মুফতি জহির ইবনে মুসলিমসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি ইউসুফ আহমাদ মানসুরসহ বিভিন্ন ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবীদ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এন.এইচ/