হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর যুগে পতিতা সনাক্তকরণ চিহ্ন হিসেবে প্রচলন হয় কপালে টিপ ব্যবহার করা। ততকালীন সময় যারা চরিত্রহীনা ছিলো তাদের কপালে তীলক পরানো হতো। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত, যা মেয়েরা নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে ব্যবহার করে থাকে, তা সম্পূর্ণ হারাম।
অতঃএব যারা বলে যে, ‘মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায়’ এবং এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন? তা একবার ভেবে দেখবেন।
অশ্লীল পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হতো, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। হায়রে দুনিয়া। এটা স্বাভাবিক বিষয়; কারণ যারা দারুইনের থিউরি পড়তে পড়তে মনে করে, তারা বানর থেকে আবডেট হয়ে মানুষ হয়েছে, তাদের কাছে তো- যেই তীলক’টা প্রাচীন কালে চরিত্রহীনা পতিতা সনাক্তকরণ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হতো আজ তারাই সেটাকে আবডেট করে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশে টিপ হিসেবে ব্যবহার করছে। বাহ আবডেটাবল!
ওহে! মুসলিম নারীরা, এই সত্য কথাটা জানার পরও কি আপনাদের কপালে টিপ পরবেন?? এছাড়া কপালে টিপ দেয়াটা সেকালে চরিত্রহীনাদের সাংস্কৃতিক রীতিতে পরিণত হওয়ায়, তা আদর্শবানদের সাথে যায় না, ইহা নিতান্তই অশ্লীলতার সাথে সম্পৃক্তদের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, কোনো ধার্মীকের পক্ষে তা শোভা পায় না। আর কোনো অপসংস্কৃতি কোনো মুসলমানের জন্য গ্রহন করা জায়েয হতে পারে না। এরপরেও কারো কাছে তা ভাল লাগলে, মনে করতে হবে তার রুচিবোধ’টাই নষ্ট হয়ে গেছে।
মীর সালমান নামের একজন প্রশ্ন ছুড়ে দিছে:
ইব্রাহিম (আঃ) এর যুগে পতিতারা কি করতো তাতে আগ্রহ নাই। সে যুগে পতিতারা কাপড় খুলতো বলে আমার বউ আমার সামনে কাপড় খুলতে পারবে না এটা কোন কথা না।
উত্তর:
নবী মুসা (আঃ) এর যুগে ফিরাউন অনেক প্রসিদ্ধ, তবে তখন সে নাম প্রসিদ্ধ ছিলো বলে এখন কেও সে নাম পারিবারিকভাবে ব্যবহার করবে না বিষয়টি তা হতে পারে না। জবাবটা আপনার মতো দিলাম।
যাহোক ‘কারুন’ও তো মুসা (আঃ) এর যুগে একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলো, কোই কেও তো সে-নাম ইউস করে না, আপনি করতে পারবেন? আপনি কি কারুনের আদর্শ গ্রহণ করতে পারবেন? যদি কারুনের আদর্শ গ্রহণ করতে না পারেন তাহলে ইবরাহীম (আঃ) এর যুগের পতিতাদের সংস্কৃতি কিভাবে গ্রহণ করবেন? মস্তিষ্কবিকৃতি না হয় যেনো??
লেখক: নুমান রিডার