মো সাহিদ হাসান, নওগাঁ প্রতিনিধি :
নিরব কুমার দাস সমাজের পরিস্থিতি ও চাকরির দূর দর্শা দেখে বাধ্য হয়েই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি এখন বড়ো বড়ো কয়েকটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে নওগাঁ শহরে নিজস্ব একটি প্রতিষ্ঠান দাস অনলাইন জোন এন্ড ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টারে নিয়মিত নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরি করছেন।
নিরব কুমার দাস ১৯ মে ২০০৩ সালে তার জন্ম নওগাঁর জেলার রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের কালীগ্রাম ডাকাহার পাড়া গ্রামে। বাবা ডাক্তার নিখিল চন্দ্র দাস ও কল্যাণী রাণী দাস গৃহিণী দম্পতির ছেলে।তিনি ২০১৬ সালে আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।ও তিনি এখন নওগাঁ সরকারি কলেজের ছাএ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিরব ২০১৭ সালে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনের ক্লাস নিতেন। সেখানে বিনা বেতনে কিছু দিন চাকরি করেন তিনি।নিরব কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে কাজ করার পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখেছিলেন। কিন্তু চাকরির দূরদর্শা দেখে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
নিরব কুমার দাস ইতোমধ্যে ২৭টি দেশের ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করছেন। এসব কাজের বিনিময়ে ঘরে বসেই উপার্জন করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। নিরবের মাসে প্রায় ভালোই $ ডলার আয় করছেন। তার অধীনে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ফ্রিলান্সিং করছেন। তারাও এখন স্বাবলম্বী।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই নিরবের কম্পিউটারে কাজ করার প্রতি বেশ মনোযোগ ছিল। তার স্বপ্ন ছিল আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সফলও হয়েছে সে।
নিরব কুমার দাস বলেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখে ও দিনাজপুর এর কিছু বড় ভাইয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এসব কাজ শিখেছি। যারা সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে এসব কাজ শুরু করতে পারছেন না, তারা ইউটিউব ও গুগলের সাহায্য নিয়ে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন। তবে অবশ্যই তাকে অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হতে হবে।
আবাদপুকুর মহ্যাবিদ্যালয়ে কলেজের আইসিটি শিক্ষক মাহাবুর রহমান প্রেজেন্ট নিউজকে বলেন,নওগাঁর নিরবের মতো বহু যুবক ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করে বেকারত্ব দূর করছে। চাকরির পেছনে না ছুটে শিক্ষিত যুবকরা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এতে করে এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
এন.এইচ/