কবি বলেছিলেন,
“যে মুজিব জনতার,
সে মুজিব মরে না।”
মার্কিন সাপ্তাহিক সাময়িকীতে বরেণ্য সাংবাদিক লোবেল জেনকিনস শেখ মুজিবকে Poet of Politics তথা রাজনীতির কবি বলে সম্বোধন করেছেন।পিতা মুজিব এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির মহানায়ক।
মুক্তির স্বাদ অদ্ভুত। মানুষ জীবনের বিনিময়ে হলেও মুক্তি চায়। মুক্তি ঈশ্বরের দান। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি এই স্বাধীনতাকেও বিষিয়ে তুলেছিল পাকিস্তানি দোসররা।
বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বর জাতি বনী ইসরাঈল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বনী ইসরাইলের বর্বরতাকেও হারিয়ে দিয়েছে।
লোলুপ দৃষ্টির রক্তচক্ষু বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেটৃত্বে জয় ছিনিয়ে এনেছিল এদেশের আপামর জনতা।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি। সম্প্রতি ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস: দ্য স্পিচেস দ্যাট ইনস্পয়ার্ড হিস্টরি (লন্ডন, ২০১৩) শিরোনামে মানবজাতির ইতিহাসের ২৫০০ বছরের ৪১ জন জাতীয় বীরের ভাষণ নিয়ে একটি বই সংকলন করেছেন। তাতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ভাষণকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ১৮৬৩ সালের বিখ্যাত গেটিসবার্গ বক্তৃতার সঙ্গে তুলনা করা যায়।
লিংকনের সে ভাষণও ছিল সংক্ষিপ্ত। মাত্র তিন মিনিটের। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উভয়ই ইতিহাসের মূল্যবান দলিল
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষকে চারটি শর্ত দিয়ে ভাষণের শেষাংশে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।
কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছেন,‘৭ মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধু ভাষণ নয়, এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।’ যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথ বলেছেন ‘ পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগরুক থাকবে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।’
কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন,
একটি অমর কবিতার সব গুণ আছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে৷ এরমধ্যে রয়েছে কাব্য এবং কাব্যিক ঢং৷ কাব্যগুণসম্পন্ন বলেই হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মুখস্থ বলতে পারে৷ অন্য কোনো ভাষণ এভাবে স্কুল- কলেজের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে মুখস্থ বলতে পারে বলে আমার জানা নাই৷ কাব্যগুণসম্পন্ন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।”
যার যোগ্য নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা,সেই মহামানবের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
লেখক: ফাইজুল ইসলাম,
আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।