তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বে দেশটি আফ্রিকান দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক গভীরতর করতে থাকবে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ তুর্কি কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, আমাদের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, শিক্ষাগত বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় অত্যন্ত শক্তিশালী। আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি তার দৃঢ় প্রমাণ। খবর আনাদোলু, আল জাজিরা।
এরই মধ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ১৭-১৮ ডিসেম্বর হয়ে গেল তুরস্ক-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলন। দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনের এজেন্ডা হল তুরস্ক এবং আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা পর্যালোচনা এবং তার এগিয়ে যাওয়ার অংশীদারিত্ব প্রক্রিয়ার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা।
তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেটিন আলতুন ইস্তাম্বুলে একটি শীর্ষ সম্মেলনের পরে টুইটারে লিখেছেন, আঙ্কারা ৩য় তুরস্ক-আফ্রিকা অংশীদারিত্বের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। এর মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি একটি অভিন্ন ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করার জন্য তুরস্কের পথ আরও উন্মুক্ত হল।
তিনি বলছেন, অনেক আফ্রিকান দেশ আইএস, বোকো হারাম, আল-শাবাব এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। আমরা তাদের সাথে প্রতিরক্ষা এবং সন্ত্রাসবিরোধী উভয় ক্ষেত্রেই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখব এবং আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং জ্ঞান ভাগ করে তাদের সমর্থন করব।
খবরে বলা হচ্ছে, আফ্রিকান দেশগুলোতে তুরস্ক ৫ মিলিয়ন করোনার ভ্যাকসিন দান করবে। এছাড়া তুরস্কের দেশীয় তুরকোভাভ ভ্যাকসিনও আফ্রিকায় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এটা প্রমাণ করে আঙ্কারা রাজনৈতিক বিষয়ের বাইরে আফ্রিকান জনগণের মঙ্গল সম্পর্কে কতটা যত্নশীল।
এছাড়াও আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের দিকে ইঙ্গিত করে ওই কর্মকর্তা বলছেন, তুরস্কের এসব উদ্যোগ আফ্রিকার নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পাশাপাশি শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াবে। আফ্রিকা ও তুরস্কেও সমন্বয়ের মাধ্যমে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আলতুন বলছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আফ্রিকার প্রতিনিধিত্বের অভাবের বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে উত্থাপন করেছেন। কারণ আফ্রিকার রয়েছে ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যা। এরদোয়ান চাচ্ছেন, বিষয়টি যেন জাতিসংঘ ভেবে দেখে এবং আফ্রিকা মহাদেশের মানুষের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।






