দীর্ঘ দুই বছরের অপেক্ষার প্রহর ভেঙ্গে অবশেষে আজ আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হল। বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জন নেতাকর্মীর ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আজ ৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়কে স্বাগত জানিয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান বিজ্ঞ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন- এতে আবরারের পরিবার যেমন ন্যায় বিচার পেয়ে প্রশান্ত হল, সাথে সাথে গেস্টরুম নামক নৃশংস ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রতিস্থাপিত হল। আশা করছি এর মাধ্যমে ‘গেস্টরুম’ সংস্কৃতি লালনকারী সংগঠনগুলো বিশেষত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সতর্কবার্তা গ্রহণ করতে পারবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, রায় ঘোষণা হলেও বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কারণ ইতোপূর্বে বিশ্বজিৎ হত্যার রায় প্রদান ও বাস্তবায়নে গড়িমসির সমসাময়িক ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। বিশ্বজিতের হত্যা ও আবরারের হত্যায় ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরাই জড়িত। দেশে আইনের শাসন রয়েছে এবং বিচার বিভাগ স্বাধীন, এই দুইটি কথা বাস্তব প্রমাণ করার দায়িত্ব আদালতের। তাই আমরা চাই দীর্ঘসূত্রতার নিচে ফেলে এই রায়কে যেন জনতুষ্টিমূলক আইওয়াশ রায়ে পরিণত না করা হয়।
তারা আরো বলেন, বিশ্বজিৎ ও আবরার হত্যার রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হলো, হয় ছাত্রলীগ খুনি তৈরি করে, না হয় খুনীরা ছাত্রলীগে আশ্রয় নেয়। সাধারণ ছাত্ররা এই খুনী সংগঠনকে বয়কট করবে। এই সময় তারা ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতি রায় বাস্তবায়ন পর্যন্ত ইস্যুটির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।