আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ও তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ বলেছেন, তার সরকার অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। এছাড়া আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান জনগণের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে বর্তমানে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা ঘানি সরকারের সৃষ্ট। এপি, রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিজিটিএন তার এই বক্তব্য তুলে ধরেছে।
গতকাল শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর জাতির উদ্দেশে এটি তার প্রথম ভাষণ। দোহায় আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে তিনি এমন বক্তব্য দিলেন।
হাসান আখুন্দ প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় বলেন, আমরা সমস্যায় ডুবে আছি এবং আল্লাহর সাহায্যে আমাদের জনগণকে দুর্দশা ও কষ্ট থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছি।
হাসান আখুন্দকে চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। তার সরকার বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সাহায্য স্থগিত হওয়ার কারণে দেশটির অর্থনীতি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএস গোষ্ঠীর কাছ থেকে কঠোর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তালেবান। তারা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি নৃশংস হামলা চালিয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব বেড়েছে। তালেবানের দখলে যাওয়ার পর থেকে দেশটির ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়েছে। ওয়াশিংটন কাবুলের জন্য তার রিজার্ভে থাকা প্রায় ১০ বিলিয়ন মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে। বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আফগানিস্তানে তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সম্প্রতি একটি খোলা চিঠিতে জব্দ করা অর্থ ছাড়ের জন্য ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, দেশটিতে একটি বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ৩৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এই শীতে ক্ষুধার সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।