মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ রজব, ১৪৪৭ হিজরি | ১৫ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | রাত ১২:১৪

মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ রজব, ১৪৪৭ হিজরি | ১৫ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | রাত ১২:১৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়৩১তম দিবস উদযাপিত

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৫:১২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৫:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৭:২২ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৮:৪১ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মাদ ফরহাদ মোল্লা,খুলনা প্রতিনিধি:
বৈশ্বিক মহামারী করোনার জন্য গতবছর সীমিত পরিসরে হলেও এবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। আজ ২৫ নভেম্বর ২০২১ খ্রি. বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। উদ্বোধন শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশ ঘুরে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন হয়ে পুনরায় হাদী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যারা নানাভাবে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের সামনে শুধু আকাশ। আমরা এখন আকাশ ছুঁতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনায় আমরা দেশে-বিদেশে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই।
উপাচার্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মিলিতভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সমৃদ্ধির এ সম্মুখযাত্রায় বর্তমান ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অর্জন ও সুদৃঢ়ভিত্তি রচিত হয়েছে তা আগামী দিনের সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টসহ বিভাগীয় প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১২টায় উপাচার্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সংস্কারকৃত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন। পরে তিনি হলের সামনে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর রোপণকৃত নারকেল গাছে উৎপাদিত নারকেল থেকে তৈরি চারা রোপণ করেন। এরপর তিনি খানজাহান আলী হলের সামনে স্মারক বৃক্ষরোপণ করেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় শহিদ মিনারস্থ মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। পরে বিগত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন ও বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে নিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। ডিনবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন চারুকলা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। বিগত বছরের অর্জনসমূহ তুলে ধরেন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. প্রশান্ত কুমার দাশ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অর্জন ও কার্যক্রম ভিত্তিক কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের তৈরিকৃত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বেলা সাড়ে ১২টায় মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই। এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লি¬নে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

উত্তরা ১২ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।  সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর পার্কে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সোসাইটির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে মার্চপাস্ট ও জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা

উত্তরা ১১ নং সেক্টর সোসাইটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিনব্যাপী বিজয় দিবস উদযাপন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১১ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির

ডেভেলপারস ফোরাম উত্তরা এর ১৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠিত

ডেভেলপারস ফোরাম উত্তরা  (ডিএফইউ)-এর ১৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য উদযাপন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল ও শহীদ মডেল কলেজের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিলেন প্রায় ২ হাজার মানুষ 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উত্তরা তুরাগের কামারপাড়া এলাকার শহীদ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম ব্যবহার করে পুনরায় প্রভাব বিস্তার — চাকরিচ্যুত মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, সংযুক্ত কলেজসমূহ এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে চাকরিচ্যুত

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৫:১২ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৫:৪২ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৭:২২ অপরাহ্ণ
  • রাত ১৮:৪১ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ