কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিনে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বাস ও কোরবানি পশুবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পর্যন্ত দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট।
এসব যানবাহনের মধ্যে কোরবানি পশুবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, কাভার্ডভ্যান রয়েছে।
রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত কাভার্ডভ্যান ঘাট পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে।
কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে থাকতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চালক ও সহকারীরা এবং গরুর ব্যাপারীরা। দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকায় অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু বোঝাই ট্রাক নিয়ে আসা ব্যাপারী ইসহাক মোল্লা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ঘাটে আজ সকালে ৮টায় এসেছি। গতকাল রাত ৩টায় গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে ট্রাকের সিরিয়ালে পড়ি।
তিনি বলেন, সকালে এখানে আসলাম। কখন পার হবো জানি না। এই গরমে গরুগুলোর কী হবে আল্লাই জানে। আমাদের ট্রাকগুলো দয়া করে পার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
যশোর থেকে আসা ট্রাক নিয়ে গরুর ব্যাপারী ইকবাল সরদার দেশ রূপান্তরকে বলেন, গরমে গরুগুলোর মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে যাচ্ছে। হাত পাখা দিয়ে গরুগুলোকে বাতাস করছি। পানি দিচ্ছি। চিন্তায় আছি গরুগুলো নিয়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫ ফেরি চালু রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ঘাট ইনচার্জ শিহাব উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে কোরবানি পশুবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করানোর। আমরা সেই ভাবেই কাজ করছি।
তবে গণপরিবহন থাকায় গাড়ির কিছুটা লাইন সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেকটি পশুবাহী ট্রাক সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে বলে জানান তিনি।