আসন্ন ঈদুল আযহাসহ যেকোনো ঈদ উৎসবে শতভাগ ভাতা দাবি করেছেন মাদরাসার জেনারেল শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন। একই সাথে যৌক্তিক দাবি সত্যেও দীর্ঘ দিনেও শতভাগ উৎসব ভাতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতৃবৃন্দ। তাই আর বিলম্ব না করে এবারের ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাও চান এই শিক্ষক সমাজ।
সোমবার বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শতভাগ উৎসব ভাতা দাবি করে ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসোসিয়েশনের সভাপতি জহির উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের অংশ গ্রহণে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আয়োজনে ভার্চুয়াল এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সভায় নেতৃবৃন্দ শিক্ষক- কর্মচারীদেরকে সরকারী নিয়মে বাড়িভাড়া, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা প্রদান ও শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবী জানান এবং একটি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বদলি প্রথা চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া নেতৃবৃন্দ জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত, সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি ও মাদরাসার প্রশাসনিক পদে জেনারেল শিক্ষক নিয়োগেরও জোর দাবী জানান।
সভায় অংশ নিয়ে সংগঠনের সভাপতি জহির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভূক্ত করেছেন, ৫% ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন, ২০% বৈশাখী ভাতা দিয়েছেন, প্রায় ছয় শতাধিক স্কুল/কলেজ জাতীয়করণ করেছেন এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২৭৩০টি নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছেন। এছাড়া (কোভিড-১৯) করোনা দুর্যোগে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে বিশেষ অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
একইসাথে সভায় অংশ নিয়ে আসন্ন ঈদ- উল- আযহায় শতভাগ উৎসব ভাতা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষকদেরকে ২৫% ও কর্মচারীদেরকে ৫০% উৎসব ভাতা দেয়ার নিয়ম চালু হওয়ার পর ১৭ বছর গত হলেও খন্ডিত উৎসব ভাতার পরিবর্তন হয়নি। এটি শিক্ষক সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জার এবং দুঃখজনক ঘটনা। অনতিবিলম্বে শিক্ষক- কর্মচারীদেরকে শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার জোর দাবী জানান তারা। এছাড়া তিনি স্কুল- কলেজের এমপিও নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদরাসার এমপিও নীতিমালা সংশোধনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান এবং শিক্ষকদের সকল যৌক্তিক দাবী পূরনে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
আলোচনা শেষে করোনায় মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং করোনা আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি উপাধ্যক্ষ মুহা. জোহরুল ইসলাম। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: ফজলুল বারী বেলাল, ড. মো: মোখলেছুর রহমান, মো: শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ড. মু. জাকির হোসেন, মো: আমির উদ্দিন, মো: হোসনি মোবারক, হুমায়ুন তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো: ওয়ালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো: আতাউর রহমান, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, মাসুদা সুলতানা, মো: গোলাম মোস্তফা, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শফিউল আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আমজাদ হোসেন, মো: রেজাউল করিম, মো: আল-আমিন সরকার, নুরুল আমিন শিশির, অর্থ-সম্পাদক খোরশেদ কবির মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক আরিফ ইমাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো: নেকবর হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মন্ডল, গণ সংযোগ সম্পাদক মো: আব্দুল জলিল, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো: আব্দুল মালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো মোস্তাক আহমেদ, মো: আব্দুর রাজ্জাক, নাহিদা পারভিন, বাবু রজত কান্তি দাস, মাসুদ রানা, জাকির হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মো: মজিবুর রহমান সহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।