ভারতের হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় বুধবার বিকেলে পাহাড়ধসে ১১ জন নিহত এবং অন্তত ২০-৩০ জন মাটিচাপা পড়েছেন। হতাহতের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। পাহাড় থেকে প্রস্তরখণ্ড ভেঙে নীচের রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি বাসের উপর পড়লে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে ৪০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। খবর এনডিটিভি।
ডেপুটি কমিশনার আবিদ হুসেন সাদিক জানিয়েছেন, বাসটি রেকং পেও থেকে শিমলার দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় ধস নামে। এতে ওই বাস, ট্রাকসহ বেশকিছু যানবাহন মাটিচাপা পড়ে। এ ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে নেমেছে ইন্দো-তিব্বতিয়ান সীমান্ত পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) দুই শতাধিক কর্মী। স্থানীয় জনগণও উদ্ধারকাজে পুলিশের সাথে হাত মিলিয়েছে।
সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পান্ডে জানিয়েছেন, এলাকাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থলে তিন ব্যাটালিয়নের ২০০ সদস্যকে পাঠানো হয়েছে।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য বলেছি। বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি। তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
এদিকে দুর্ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। ভারী ও তুমুল বৃষ্টির কারণে হিমাচল থেকে প্রায়শই এমন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। বিগত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ভূমি ও পাহাড় ধস হয়েছে সেখানে। গত জুলাইয়ে কিন্নরের বাস্তেরিতে ভূমিধসে ৯ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল।