আগের ম্যাচেই ৪ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৫০, ছিলেন উইকেট শূন্য। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল। ফলে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সমালোচনা উঠেছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচেই নিজের কারিকুরি দেখালেন সাকিব। বল হাতে নিলেন চারটি উইকেট। গড়লেন রেকর্ড। বাংলাদেশ পেল ৬০ রানের দারুণ জয়।
সব মিলিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব। শুধু তাই নয়, পুরো সিরিজে ব্যাট-বলের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে তিনি জিতে নিয়েছেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও।
৫ ম্যাচে সাকিবের মোট উইকেট সাতটি। সমান ৮ উইকেট নিয়ে সবার উপরে অস্ট্রেলিয়ার হেজলউড ও বাংলাদেশের নাসুম আহমেদ। ব্যাট হাতে সাকিব পাঁচ ম্যাচে করেছেন ১১৪ রান। সর্বোচ্চ ৩৬ রান। তবে গড় ২২.৮০। স্ট্রাইক রেট এক শ’র উপর। এই সিরিজে রানের দিক থেকে সাকিবেরে উপরে একজনই, তিনি মিচেল মার্শ। ৫ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৫৬ রান। শত রানের উপরে সাকিব-মার্শের পর আছেন শুধু আফিফ হোসেন, ১০৯ রান।
সিরিজের শেষ ম্যাচে সাকিব করেন ১১ রান, ২০ বলে। ৩.৪ ওভারে নেন একটি মেডেন। রান দেন মাত্র ৯। উইকেট চারটি। আর তাতে নতুন রেকর্ড গড়েন সাকিব।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি স্পর্শ করলেন উইকেটের সেঞ্চুরি। বৈশ্বিক ক্রিকেটে হয়েছে নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেয়ার নতুন নজির এখন সাকিবের।