ফয়সাল আরেফিন:
কিশোরগঞ্জে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসন বরাবর আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকেজন ব্যবসায়ী।
শনিবার (৭আগস্ট) জেলা শহরের একটি সাংবাদিক সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের প্রতি এই আবেদন জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য এবং তাহেরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. ফাইজুল ইসলাম।এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত থেকে কথা বলেছেন মো. শাহ আলম, মো. আবু জাহেদ ও মো. গণি মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাবসায়ী ফাইজুল ইসলাম বলেন, নীলগঞ্জ (তাহেরগঞ্জ) বাজারে তার পাথর ও বালু সরবরাহের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত বছরের ২০ জুন স্থানীয় দুই যুবক পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা দোকান বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনায় তিনি মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানান।
ফাইজুল ইসলাম আরো বলেন, চলতি বছরের ১৩ জুন উক্ত দুই যুবকসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তাকে [ফাইজুল ইসলাম] মারধর করে গুরুতর আহত করে। তিনি ১৩ দিন কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুন কিশোরগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা খাদ্য অফিসের তালিকাভুক্ত চাল সরবরাহকারী বেত্রাহাটি গ্রামের মো. শাহ আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার ধানের চাতাল ও রাইস মিল সংস্কারের প্রয়োজন পড়লে ওই দুই ‘সন্ত্রাসী’ চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয় এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। সেই সাথে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের বাধার কারণে বর্তমানে চাতালে ধান শুকানো সম্ভব হচ্ছে না বলে শাহ আলম অভিযোগ করেন ।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বেত্রাহাটি গ্রামের গণি মিয়া বলেন, তার বাড়িতে ওই দুই যুবক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বহু গাছ-গাছালি কেটে ফেলে এবং বাড়ির লোকজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তিনি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় জিডি করেছেন বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা মাইজখাপন ইউনিয়নের এই দুই ব্যক্তির ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘বেপরোয়া’ কর্মকাণ্ড দূর করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।






