ওআইসি মানবাধিকার কমিশনের সদস্য আজারবাইজানের ড. আইদিন শফিখানলি বলেন, কাশ্মিরি জনগণের সঙ্গে ভারত যা করছে তা যুদ্ধাপরাধ। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলবেন বলে তিনি জানান। আজ (রোববার) কাশ্মির পার্লামেন্ট হাউসে ওআইসির মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদলটি একটি ক্যামেরা ব্রিফিংয়ে কথা বলবেন।
কাশ্মিরের বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চল ’লাইন অব কন্ট্রোল’ পরিদর্শন করেছে ওরগানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) মানবাধিকার কমিশন আইপিএইচআরসি। শনিবার প্রথমবারের মতো সংস্থটির পক্ষ থেকে অঞ্চলটি পরিদর্শন করা হয়। যেখানে ভারত-পাকিস্তানের বহু সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। এখন সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে চিরপ্রতিদ্বন্ধী এই দুই দেশ। দ্য ডন।
প্রতিনিধি দলটি কাশ্মিরের পোঞ্চ বিভাগের চিরিকোট সেক্টর পরিদর্শন করে। সেখানে তাদের একজন সিনিয়র সেনা কমান্ডার সাম্প্রতিক ও জরুরি বিষয়ে তাদের অবহিত করেন। লাইন অব কন্ট্রোলের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ও তাদের জানানো হয়।
লাইন অব কন্ট্রোলের দৈর্ঘ্য ৭৪০ কিলোমিটার। এ এলাকায় বিনা উস্কানিতে কামানের গোলাগুলি, বন্দুকের গুলি অহরহ চলে আসছে বহু বছর ধরে। গত ফেব্রুয়ারিতে ২০০৩ সালে করা যুদ্ধবিরতি নবায়নের আগ পর্যন্ত এলাকাটি অশান্ত ছিল। এ যুদ্ধবিরতি নবায়নের ফলে এলাকাবাসী হামলা-গোলাগুলির হাত থেকে এখন ঝুঁকিমুক্ত।
পরিদর্শকালে ওআইসি মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা স্থানীয় ভুক্তভোগী গ্রামবাসী, গ্রামরক্ষা কমিটি এবং বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা ও মতবিনিময় করেন।
কমিশন সদস্য মালয়েশিয়ার আহমেদ আজম বলেন, কাশ্মির পরিস্থিতি সম্পর্কে শিগগিরই বিশ্বফোরামে তোলা দরকার। সীমান্তে ভারতীয় সেনারা যে অবৈধ হামলা ও অত্যাচার চালাচ্ছে তার সত্যতা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর কোনো বিচার করছে না। তিনি মনে করেন, কাশ্মিরি জনগণের এই ভোগান্তির তথ্যচিত্র বা ভিডিওচিত্র তৈরি করা দরকার এবং বিশ্বকে জানানো দরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ড. সায়িদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত কাশ্মিরের স্বাতন্ত্র্য মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ভারত বিপজ্জনক পন্থা অবলম্বন করেছে এবং জম্মু ও কাশ্মিরে আমাদের ভাইদের মানবাধিকার হরণ করেছে। ভারত সীমান্ত অঞ্চলে জনসংখ্যাভিত্তিক যে বৈষম্য সৃষ্টি করছে সে ব্যাপারে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মরক্কোর হাফিজ আল হাচমি কাশ্মিরি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, আমাদের উচিত কাশ্মিরি জনগণের ভোগান্তির ব্যাপারটি বিশ্বব্যাপী প্রচার করা। কারণ তারা সীমান্তের ওপার থেকে হামলার শিকার হচ্ছে।
তুরস্কের ড. গাচিকগুল বলছেন, জাতিসংঘ কাশ্মিরি জনগণের গণভোটের অধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু ভারত কাশ্মিরি জনগণের স্বাধীন সত্ত্বাকে স্বীকার করে না। সাত দশক পার হলেও গণভোটের ব্যাপারে ভারতের কোনো মাথাব্যথা নেই।






