গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়ার পর আগামী রোববার (২০ জুন) দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে আরও প্রায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি অসহায় পরিবারকে ঘর দিচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, আগামী রোববার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও একলাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি-ঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন মন্তব্য করে আহমদ কায়কাউস বলেন, বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার নজির থাকলেও ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে তাদের বাড়ি-ঘর দেওয়ার নজির আর নেই।
মুখ্য সচিব বলেন, অসহায় মানুষকে এভাবে ঘর দেওয়াকে ‘অর্ন্তভূক্তি উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’। বিশ্বে এটা নতুন মডেল, আগে কখনো কেউ এটা ভাবেনি।
সরকার অসহায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আহমদ কায়কাউস বলেন, অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখানে অনিয়মের বিষয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একক জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনবার্সন প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১৯টি বহুতল ভবনে ৬০০টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবাররকে একটি করে ফ্ল্যাট দেন।
খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আরও ৩ হাজার ৮০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি।