পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসের জন্য বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা জড়িত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার এই অভিযোগই তুললেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়।
দিল্লিতে সাংবাদিকদের শুভেন্দু জানান,‘আমি মোদিজিকে বলেছি, রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৫ জন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই সমস্ত অপরাধে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গারা যুক্ত। হাজার-হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে ২৬টি পরিবার জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে।’
তার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষিত হচ্ছে না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই বৈঠকেও রাজ্যে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
অবশ্য, শুভেন্দুর এই বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার জন্য দিল্লিতে গিয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন শুভেন্দু। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, শুভেন্দু আসলে বিজেপিতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক করতে ব্যস্ত, তখন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। দলের রাজ্য সভাপতি নিজেই জানিয়েছেন, শুভেন্দুর বৈঠকের ব্যাপারে কিছুই তিনি জানেন না। যদিও এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অবশ্য বক্তব্য, ‘দিলীপদার সঙ্গে কথা হয়নি।অমিতাভদা জানেন। দিলীপদার সঙ্গে আমার ভালোই সম্পর্ক আছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর বিজেপি এমপি সৌমিত্র খাঁয়ের বাড়িতে এমপি অর্জুন সিং, নিশীথ অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এন.এইচ/