চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের এক মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ গাজী ১৪ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যেতে না চাইলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তিনি বলেন- ‘শয়তানের ফেরে পড়ে কিশোরীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছি।’
এদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে স্থানীয় মহিলা মেম্বার শান্তা বেগমের স্বামী মুজিব শেখ তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বুধবার বিকালে মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ রাখার পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি দালাল চক্রের ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা শেষপর্যন্ত পণ্ড হয়ে যায়।
সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের চাপিলা গ্রামের নেসার উদ্দিন গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ গাজী ২০১৫ সালে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ওই মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই মাদ্রাসায় বর্তমানে দেড় শতাধিক ছাত্রী রয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরী মাদ্রাসায় না যাওয়ায় তার বাবা তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে তার বাবাকে লম্পট শিক্ষকের এ কুকীর্তির ঘটনা জানায়। বিষয়টি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীর বাবা শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের স্বামীসহ বেশ কয়েকজন মিলে ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ গাজী বলেন, শয়তানের ফেরে পড়ে কিশোরীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছি। আমি ভুল করেছি; এবারের জন্য ক্ষমা করে দেন।
স্থানীয় মহিলা মেম্বার শান্তা বেগমের স্বামী মুজিব শেখ জানান, মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে অপকর্মের ঘটনাটি শিক্ষক স্বীকার করেছেন ও ক্ষমা চেয়েছেন।
ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম খান জানান, মাদ্রাসাছাত্রীকে ওই প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, বিষয়টি জানতে পেরে মডেল থানা পুলিশেকে ঘটনাস্থলে পাঠান। মডেল থানার এসআই শাহরিয়ার অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করলে দালাল চক্রের অর্থ বাণিজ্যের রফাদফাও ভেস্তে যায়।