৯ দিন পরে হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেলো নিখোঁজ ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের লাশ।
রবিবার (২৩ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুরের লাশ শনাক্ত করেছে তার পরিবার ও স্বজনরা।
তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ১৫ মে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেইটের সামনে জনসন্মুখে নিজের গলায় নিজে কয়েকবার দা চালায় হাফিজুর। এতে মারাত্মক জখমের ফলে তার অনেক রক্তক্ষরণ হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে আনে। পরে ওইদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা নার্গিস বেগম নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ওইদিন বৃষ্টির সময় যখন সবাই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল, তখন ডাবের দোকান থেকে দা নিয়ে নিজেই নিজের গলা কাটতে কাটতে দৌঁড়াতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে উপস্থিত সবাইকে সরিয়ে দেয়।”
কুমিল্লা থেকে চিকিৎসা নেওয়ার নিতে আসা নার্গিস বেগম জানান ঘটনার সময় হাফিজের পরনে শুধু একটা হাফপ্যান্ট ছিল।
সূত্র জানায়, গত ১৫ মে ঈদুল ফিতরের পরদিন দুপরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে হাফিজুর। বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডার সময় বৃষ্টির মধ্যে দৌড় দেয় হাফিজুর।
এ বিষয়ে ঘটনার দিন তার সাথে থাকা বন্ধু বাপ্পি বলেন, ওইদিন হাফিজ কার্জন হলে বসে আমার সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই সময় তাকে অনেক বিচলিত দেখাচ্ছিলো। হঠাৎ সে ঐখান থেকে উঠে দৌড় দেয়। তখন আমরা তার পিছন পিছন দৌড়ে কেউ তাকে পাইনি।
তিনি আরো জানান, ওইদিন হাফিজুরের পরনে ছিলো কালো প্যান্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লগো যুক্ত একটি টিশার্ট।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তার পরনে হাফ প্যান্ট ছিলো।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, ওই দিন রাতে গলাকাটা অবস্থায় পুলিশ একজনকে হাসপাতলে আনে। পরে রাত ১০টার দিকে সে মৃত্যুবরণ করে। তদন্তের পর বিষয়টি জানা যাবে।