”বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ভদ্রবেশে আমার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে অযাচিত ও অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে ‘পাগল টাগল নাকি’ বলে চরম মানহানিকর নোংরা ভাষা প্রয়োগ করেন যা অংশগ্রহণকারী সবাই দেখতে ও শুনতে পায়, এবং তা ভিডিও আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।’’
এই অধ্যাপক মনে করেন, এ ধরণের মন্তব্য হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য করেছেন যা তাঁর অসদাচরণের (পাবলিক নুইসেন্স ও প্রফেশনাল মিসকনডাক্ট) বহিঃপ্রকশ।
আবেদনে অধ্যাপক জামাল আরও লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তথা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে এতে আমার মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। ডিজিটাল পাবলিক প্লেস বা উন্মুক্ত স্থানে হাজার হাজার মানুষের সামনে তার এ ধরনের হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক শিষ্টাচার বহির্ভূত মানহানিকর মন্দ ও নোংরা বক্তব্য সামাজিকভাবে আমার চরম ক্ষতি সাধন করেছে, যার আর্থিক মূল্য অপরিমেয়। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে আমার মতো একজন জ্যেষ্ঠ সহকর্মী শিক্ষকের প্রতি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম কর্তৃক এ ধরনের পাবলিক
নুইসেন্স ও প্রফেশনাল মিসকনডাক্টের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘জামাল আমার প্রথম ব্যাচের ছাত্র৷ আমি তাকে স্নেহ করে বলেছি এত রাত অবধি অফিসে কি করে। এই ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি মুখে মুখে শুনেছি ব্যাপারটা৷ এখনো বিস্তারিত জানি না৷’