ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে চলমান লড়াইয়ের মধ্যে ইসরাইলের লড শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণের ওই শহরে ইসরাইলি এক ইহুদি, মুসা হাসুনা নামে ফিলিস্তিনি নাগরিককে গুলি করে হত্যার পর থেকে সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ১২ জন আহত হওয়ার পর লডের মেয়র এমন পরিস্থিতিকে গৃহযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ইসরাইল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষা ও জননিরপত্তামন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোরভাবে তা মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরাইলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।
এরপর গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। অনেক বহুতল ভবন ভেঙে চুরমান করে দেওয়া হচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০ শিশুসহ ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অব্যাহত উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসলেও ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাধার কারণে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতিতে দিতে পারেনি সংস্থাটি।
ইসরাইলি উগ্রবাদীদের জেরুজালেম দখল দিবস উদ্যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ মুসল্লি আহত হন।