বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন সরকারের অবসরপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত সচিব। বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তাদের সংগঠনসমূহ।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। শুক্রবার রাতে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন,
বর্তমানে আমাদের শিক্ষক সমজের যে অবস্থা; এ পরিস্থিতির মধ্যে শুধু কোষাধ্যক্ষ পদে না ভিসি পদেও আমলাকে এনে বসালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সরকারি কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাবেক অতিরিক্ত সচিব। বর্তমানে তিনি অবসরোত্তর (পিআরএল) ছুটিতে আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
অধ্যাপক হারুন বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় ও আর্থিক বিষয়গুলো ট্রেজারার দেখভাল করেন। এটি কোনো একাডেমিক পদ না। তাই এ পদে শিক্ষকের বাইরে কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, তা বলা যাবে না। সরকার যাকে ভাল মনে করেছে তাকে নিয়োগ দিয়েছে। তবে এই পদে শিক্ষকদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেওয়া ছিল ট্র্যাডিশন। যেহেতু প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে আমলা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাই এখন বিবেচনার সময় এসেছে এটা শিক্ষকদের ওপরে সরকারের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ কি না। সম্প্রতি রাজশাহী ও রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগসহ আর্থিক অনিয়মের যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে সরকার যদি কোষাধ্যক্ষের বাইরের পদগুলোতেও অন্য পেশার লোকদের এনে বসিয়ে দেয় তাহলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। শিক্ষকদের নিজেদের মর্যাদা নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে।
অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, যেসব দুর্নাম হয়েছে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এই আমলাতান্ত্রিক নিয়োগ যেন ধারাবাহিকতার দিকে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ জায়গায় আমার মনে হয়েছে আমদের আচরণে সরকার বিরক্ত। হতে পারে এ নিয়োগ আমাদের জন্য সতর্কতা। যারা অনিয়ম করছে তাদের এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ।