করোনার উর্ধ্বমুখী ঢেউ ও বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
তিনি বলেন; চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক অনেকটা কমে এলেও মার্চ থেকে তা ধীরে ধীরে আবার বাড়তে শুরু করে। আর গত কয়েকদিন ভাইরাসটির আগ্রাসী থাবা আরও তীব্র ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। মার্চের শুরুতে যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল দৈনিক ৮ জন এবং সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল ৫৮৫ জন, সেখানে বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ও মৃতের সংখ্যা অর্ধ-শতাধিক ছাড়িয়েছে। সরকার পর্যাপ্ত সময় হাতে পেলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উদাসীতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ডাক্তার, নার্স সহ জরুরী স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িতদেরকে পর্যাপ্ত পরিমানে চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেনি। আইসিইউ, ভেন্টিলেটর পর্যাপ্ত পরিমানে বাড়াতে পারেননি। যা সরকার ও সংশ্লিষ্টদের চরম অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার জনগণের উপর দায়ভার চাপাতে লকডাউন ঘোষণা করেছে। সরকারের সকল ব্যর্থতা ঢাকতে একের পর এক ইস্যু তৈরি করে জনগণকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এবারের করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ গুলো সন্দেহ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। খাদ্য ও বস্ত্র নিশ্চিত না করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ধ্বংসাতœক। সাধারণ জনগণের পেটে লাথী মারার নামান্তর।
রবিবার (৪টা এপ্রিল) রাজধানীর ভাটারাস্থ আস’সাঈদ অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের মাসিক সভায় অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ আরও বলেন; সকল প্রকার আজাব-গজব মানুষের কৃতকর্মের কারনে হয়ে থাকে। আমাদেরকে সচেতনতা অবলম্বনের পাশাপাশি গজব থেকে রক্ষা পেতে হলে তওবাহ ও ইস্তেগফারের বিকল্প নাই। তওবাহ ও ইস্তিগফার দ্বারা আল্লাহর নেয়ামতের দরজা উন্মুক্ত হয় ও অবারিত রহমত বর্ষিত হয়। এ মহামারী বা গজব থেকে বাঁচতে তওবা করে ইসলামী আদর্শ অনুসরণে ফিরে আসার বিকল্প নাই।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন (পরশ), ডাক্তার মুজিবুর রহমান, মুফতী নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।