মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের উকিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে পুলিশের দাবি, দুইপক্ষই পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুইপক্ষের ১৭ জনের নামে মামলা করেছে।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহাবুব ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ফেরদৌস সৃতি সংঘ ক্লাবের ৬০ লিংক খালি জমি রয়েছে। শনিবার সকালে ওই জমিতে বাঁশ, টিন দিয়ে বেড়া দেয় একই এলাকার সোবহান মিয়া। মৃত ফেরদৌস বেপারির বোন ইয়াসমিন দিপা তার ছেলেসহ কয়েকজন নিয়ে ক্লাবের জমির কাছে যান এবং ছোবাহানের সঙ্গে কথা বলেন।
এক পর্যায় দুইপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতিতে দুইপক্ষ কথাকাটাকাটি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেশ ও সাগর মাল নামে দুজনকে আটক করে।
উকিলপাড়া এলাকার মফিউদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫৫) অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ নারীসহ সবাইকে গালিগালাজ করে দেশের চুল ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি চুল ছেড়ে দিতে বলেছিলাম বলে পুলিশ আমার পেটে লাথি দিয়ে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রেহানা পারভিন লিপা বলেন, ক্লাবের জায়গাটা আমাদের, ছোবহান এটা দখল করার পাঁয়তারা করছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। পুলিশ আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন,
ঘটনার মূলহোতা ছোবাহানকে এক নাম্বার আসামি না করে আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, দ্বন্দ্ব ছাড়ানোর সময় কিছু একটা হতে পারে। কিন্তু আমি কাউকে কিছু বলিনি।