বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিপন্থী ঢাবির সাদা দলের শিক্ষকরা।
আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সুপারিশের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব কারও দয়ার দান নয়, এটি তার অর্জন। মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ অবদান রেখেই তিনি এই খেতাব অর্জন করেছেন। যথার্থভাবেই বাংলাদেশ সরকার তাকে মূল্যায়িত করেছে। এই খেতাব বাতিলে জামুকার আইনগত কোনো এখতিয়ার নেই। জামুকার অপতৎপরতার নিন্দা জানাই।
ড. ছিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, শহীদ জিয়া জাতির ক্রান্তিকালে জাতিকে মুক্তির দিশা দিয়েছেন। যখন আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান তখন শহীদ জিয়া উই রিভোল্ট বলে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। তার নামে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম ফোর্স গঠন করা হয়, জিয়ার নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে ‘জেড‘ ফোর্স।
অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আসলে সরকারের দুটা মন্ত্রণালয় এখন সক্রিয় আছে। একটি জিয়া পরিবার দমন মন্ত্রণালয়, অপরটি দুর্নীতি দমন মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোনো লাভ নেই জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, বিএনপির প্রতি ভালোবাসা আছে– থাকবে। কাগজে নয়, খোদাই করে নয়; জিয়াউর রহমানের নাম সবার হৃদয়ে আছে। এই কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ান, সঠিক ইতিহাস চর্চা করুন, না হলে আগামীতে আপনাদের খেসারত দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, যে খেতাবটি দিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। জামুকার দায়িত্ব ছিল এ দেশের মানুষের সঠিক তালিকা তৈরি করা, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করা।ইতিহাস বিকৃত করার কারণে যারা জিয়াউর রহমানকে ভুলতে বসেছিল, সে প্রজন্ম আজ জেগে উঠেছে জিয়াউর রহমানকে জানার জন্য। বর্তমান সরকারকে বলব– আপনারা জামুকার এই সুপারিশে কর্ণপাত করবেন না।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক এবিএম শহিদুল ইসলাম, মো. আলামিন প্রমুখ।