ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নেওয়া শ্রান্তি বিনোদন ভাতা, গবেষণা ভাতা, যাতায়াত ভাড়া ও মাঝারি মানের বাসায় কম ভাড়া দেওয়ার সুযোগ আইনি কাঠামোর মাধ্যমেই হয়েছে দাবি করে এগুলো ফেরত নেয়ার বা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃৃতিতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়।
নিয়ম না থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে শিক্ষক-কর্মচারিদের আয়কর পরিশোধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অডিট আপত্তি দিয়েছে সরকারের হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ওই আর্থিক অনিয়মের জন্য এক কোটি ৭০ লাখ তিন হাজার ৭৮১ টাকার অডিট আপত্তি হয়।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক. ড. মো. রহমত উল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংসদীয় কমিটির বরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিষয়টিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইনগত ক্ষমতাবলে উল্লেখিত ভাতাসমূহ দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত নিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মেনে নেবে না বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার স্বার্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩’ প্রণয়ন করেন, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সর্বদাই সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট আছে এবং থাকবে।’