সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অর্জিত স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ ৪৯ বছরে বিজয়ের মাসে জাতির প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মুহাম্মদ আল আমিন এর সভাপত্বিতে, মুহাম্মদ রাজন শিকদার এর সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআান তেলোয়াতের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আল আমিন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যেন বিপন্ন না হতে পারে সে জন্য ছাত্র সমাজকে সতর্ক থাকার আহবান জানান একই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বশেমুরবিপ্রবিসহ দেশের সকল শিক্ষার্থী ও দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আজ ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র জাতির অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
তিনি আরো বলেন, জাতি এমন এক সময় ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে, যখন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে। দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একদিকে করোনা মহামারির কারণে মানুষ অত্যন্ত কষ্টকর জীবন-যাপন করছে, অপরদিকে স্বাধীনতার মূল অর্জন নাগরিক ও মানবিক অধিকার হারিয়ে দেশ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে। দেশ ও জাতির অতন্দ্র প্রহরী আলেম সমাজকে অপমান ও কটাক্ষ করা হচ্ছে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্হা নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শিক্ষাব্যবস্হা।আজ শিক্ষাকে পন্যে ও সার্টিফিকেট পাওয়ার কারখানায় পরিনত করা হয়েছে।উন্নয়ন ,গবেষনা ও উদ্ভাবনী শিক্ষা ব্যবস্হা না থাকায় আমরা আজো বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াতে পারি না।
আজও সমাজের সর্বস্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই কাক্ষিত স্বাধীনতার সুফল নিশ্চিত করার জন্য এদেশের ছাত্র সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন নুরুজ্জামান সরকার, মামনুল হাসান,মামুনুর রশিদ, মইনুদ্দিন খান সিফাত, আবদুল্লাহ, মিথুন,কাজী আরাফাত, জীবন মাহমুদ সহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।এতে নেতৃবৃন্দ বলেন – এ জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের নিজেদের এ জাতির সেবায় বিলিয়ে দিতে হবে। জাতীয় চরিত্রে আসুক সাম্য, প্রতিষ্ঠা হোক মানবিক মর্যাদা, ইনসাফ দিয়ে শাসিত হোক দেশ শোষন- বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাক জাতি।
৭১এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে অনলাইন আলোচনা সভা সমাপ্ত করা হয়।