মাসখানেক পূর্বে প্রেমিকের ডাকে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রেমিক কর্তৃক প্রতারণার শিকার হন তিনি। তাকে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক। এরপর এক রিকশাচালককে রাতে থাকার জন্য কম টাকার মধ্যে একটি হোটেলে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রিকশাচালক তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়।
এরপর মাসখানেক ধরে সেখানে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হন তিনি। অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হতো তাকে। এমন অভিযোগ জানিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে এক তরুণি ফোন করেন ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার।
তিনি জানান, ফরিদপুর রথখোলা এলাকায় একটি পতিতালয়ে আটক আছেন, একজন সহৃদয় খদ্দেরের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছেন। তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান সে।
৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল মামুনুর রশিদ কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনষ্টেবল মামুন তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। ৯৯৯ ডিস্পাচার এস আই দীপন কুমার মণ্ডল সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায় ।
পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এসআই খায়রুল ৯৯৯ কে জানান, তারা ১৯ বছর বয়সী তরুণি কলার’কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯৯৯ দেশের যে কোন প্রান্তে চব্বিশ ঘন্টা নাগরিকের জরুরী মুহুর্তে ও প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এম্ব্যুল্যান্স সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।
ধন্যবাদান্তে- আনোয়ার সাত্তার, পুলিশ পরিদর্শক
গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯