১০ ডিসেম্বরে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও নগরবাসীর জান-মাল রক্ষায় ঢাকা শহরে মোতায়েন থাকবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পুলিশের ৩০ হাজার সদস্য। প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপি জানিয়েছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি চাইলে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে অথবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে তারা সমাবেশ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো রকম আপত্তি থাকবে না। পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অনুমতি দেওয়ার পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে আরামবাগে বিকল্প ভেন্যুর জন্য মতিঝিল বিভাগের ডিসির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপি কমিশনারের কাছে এখনো আসেনি।
একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৩ সালে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার পর হেফাজতে ইসলামের ঘটনা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে পুলিশ। ওইদিন যেমন তারা রাস্তায় বসে পড়েছিল, বিএনপি যদি লোকসমাগম দেখে এমন কিছু করার চিন্তা করে, তাহলে কম সময়ের মধ্যে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য ডিএমপির ৩২ হাজার লোকবল সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশনার। সমাবেশের আগে এবং পরে রাজধানীর হোটেল, মেসসহ বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক তল্লাশি চালাবে পুলিশ।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, আগামী চার-পাঁচদিন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কারা উঠছেন, কারা যাচ্ছেন, কোন সড়কে কী ঘটছে- এসব নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি সড়কে বিশেষ করে রাতের বেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করতে বলা হয়েছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে গ্রেপ্তার করতেও বলা হয়েছে।