সপ্তম দিনের মতো গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি আগ্রাসন চলছে। রোববার সকালেও গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে নতুন করে আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের কমপক্ষে দু’টি আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরই এই হামলা হলো।
গাজায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ইসরাইলিরা শহরে শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে। হামাসের রকেট হামলা রুখতে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী আয়রন ডোন ছোড়া অব্যাহত রেখেছে।
মাত্র একদিন আগেই একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮ শিশুসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তেল আবিবে পাল্টা রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। অপরদিকে আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে রকেট হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে ইসরাইল।
আলজাজিরা ও এপির কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে গাজার ১১তলা বিশিষ্ট আল-জালা ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভবনটিতে আল-জাজিরা, এপিসহ কিছু মিডিয়া অফিসের কার্যালয় ছিল। ছিল কিছু আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টও।
শনিবার রাতে টেলিভিশন ভাষণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ হামলা চলবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াও বলেছেন, প্রতিরোধ থেকে পিছু হটবে না ফিলিস্তিনিরা।
গত এক সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় অন্তত ১৪৯ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর মধ্যে ৪১ শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন ৯৫০ জন।
আর অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনিদের পাল্টা হামলায় ১০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে এ পর্যন্ত শতাধিক রকেট ছুড়েছে হামাস।
এদিকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রোববার (বাংলাদেশ সময় সোমবার) বৈঠক করতে যাচ্ছে।খবর আল জাজিরার।