হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কমিটিতে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর সন্তানসহ অনুসারীদের কারও জায়গা হয়নি। নতুন কমিটি ঘোষণার পর আহমদ শফীর অনুসারীরা বলছেন, গত কমিটির অন্তত ৫০ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়, যা হেফাজতের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
সংগঠনটির নতুন কমিটি ঘোষণার পর আজ রবিবার বিকেল ৩টার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী এমনটি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হেফাজতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত কমিটির সব সদস্যকে নিয়ে সম্মেলন হতে হবে। কিন্তু আজকের সম্মেলনে অনেককেই ইচ্ছে করেই দূরে রাখা হয়েছে।
রবিবার বিকেল ৩টার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজকের সম্মেলন গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। গত কমিটির প্রায় ৫০ জন সদস্য আজকের সম্মেলনে দাওয়াত পাননি। তাই আমরা এ কমিটি মানি না। আজই এ বিষয়ে আমরা করণীয় ঠিক করব।’
হেফাজতের নায়েবে আমীর মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, আমি কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির, ঢাকা মহানগরী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অথচ আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি। একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে এ কাউন্সিল হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
হেফাজতের নতুন কমিটিতে আরও যাদের রাখা হয়নি, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-গত কমিটির নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি আমিনীর ছেলে মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা সলিমুল্লাহ।
এর আগে এদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা মিলনায়তনে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে হেফাজতের ইসলামের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মনোনীত হয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।