হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ একটা চরম উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এই সংগঠনের নেতারা মুসলমানদের সাথে সুসর্ম্পক না রেখে মুসলমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে চরম সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়াচ্ছে। সংগঠনটি চরম মিথ্যা অসত্য, ভিত্তিহীন, মনগড়া তথ্য দিয়ে দেশের মুসলমান ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সারাবিশ্বে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। অবিলম্বে এ সংগঠনটি নিষিদ্ধ এবং এদের উগ্রবাদী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহী আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে বিচার করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান সরকারের অবমাননাকারী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মত উগ্রবাদী মৌলবাদী হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহী আইনের আওতায় এনে বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সহ সভাপতি আলহাজ মো.আবুবকর সিদ্দিক। সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তারের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সবুর মিয়া (রানীপুরা) ,হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ ওমর ফারুক গোপালগঞ্জী, হাফেজ ক্বারী মুহম্মদ শাহ আলম ফরাজী, কারী মাওলানা মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আল কাদেরী, মাওলানা মজিবুর রহমান মাদানী, মুফতি মাওলানা ফেরদৌস আহমেদ কোরাইসী, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আল আমীন, মাওলানা মুহম্মদ মোকাম্মেল হুসাইন চৌধুরী। পরে একটি মিছিল বের করে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ তাদের মতাদর্শের ভিত্তিতেই একটা চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন। দেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান ও দেশের সরকারের বিরুদ্ধে তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। তারা তাদের প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দুদের হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শ্লীলতাহানী, মন্দির দখল, জোর করে মুসলমান বানানো ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের এজেন্টরা অপপ্রচার সারা বিশ্বে ছড়াচ্ছে। হিন্দুদের জামাই আদরে রাখছে সরকার কিন্ত তারা সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। কাজেই হিজযুত তাহরীরের মত অবিলম্বে উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের সময়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানী, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ৭১ এর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার শামিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এ বক্তব্য দ্বারা ৭১ এর মহান যুদ্ধে পাকিস্তানীদের বর্বরতাকে খাটো করে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করেছে। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে হানাদার পাকিস্তানিদের চেয়ে নিকৃষ্ট করে প্রচার করে সারাবিশ্বে এদেশের জনগণ ও সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনেই সব সঙ্কট ও রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। মসজিদে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা যাবেনা। করোনা ভাইরাস দেয়ার এবং তা থেকে রক্ষার মালিক মহান আল্লাহ তিনি।