স্বাধীনতা কোনো দলের বা ব্যক্তির নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (১ মার্চ) বিকেলে হোটেল লেকশোরে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে দেওয়া স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই স্বাধীনতা এদেশে যারা সোনালী ফসল ফলায়, যারা পণ্য উৎপাদন করে, যারা শ্রম দিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তাদের সকলের। বিদেশি প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়ের, গার্মেন্টসে কর্মরত মা-বোনের, ক্ষেতে রোদে পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা কৃষকের, ছাত্র-যুবক সকল পেশাজীবীর। আসুন এই পঞ্চাশ বছর পরে আমরা নতুন করে শপথ নেই- ১৯৭১ সালের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের। যা আমাদের একটি উদার গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে অন্ধকার থেকে আলোর জগতে।’
তিনি বলেন , ‘এই স্বাধীনতা আমাদের জনগণের স্বপ্নের ফসল। এই স্বাধীনতা আমাদের নিজস্ব একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করার আকাঙ্ক্ষার ফসল, এই স্বাধীনতা আমাদের কৃষক-কৃষাণীর, ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবী-ব্যবসায়ীদের ঘামের ফসল, অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষার কষ্টের আত্মবলীদানের মহান গৌরবের সম্পদ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করার স্বপ্ন এই স্বাধীনতা।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যখন সূবর্ণজয়ন্তী পালন করছি তখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চক্রান্ত চলছে। বর্তমানে অনির্বাচিত কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার এই চক্রান্ত করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ৫০ বছরে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা দূরে থাকুক আরও বিভক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতাকে সংহত করার চেয়ে আরও দুর্বল করা হয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। এমন একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র গঠন করা হচ্ছে যেখানে ন্যায়বিচার দুষ্প্রাপ্য। বৈষ্যম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভ্রান্ত ইতিহাস জানিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সূর্বণজয়ন্তীর বিভিন্ন কর্মসূচিতে সেই সত্যকে অবধারিত করতে চাই, স্পষ্ট করতে চাই- যে সত্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যুদ্ধকে মহিমান্বিত করেছিল, আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে আবারও সেই স্বপ্ন দেখাতে চাই-মুক্ত স্বদেশে, মুক্ত সমাজে, মুক্ত মানবিক কল্যাণময় রাষ্ট্রে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক সামাজিক বৈষ্যম দূর করতে চাই। আজকের যে শিশু তার জন্য একটি কল্যাণময় ভালোবাসার পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখাতে চাই। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের যে অবদান তা তুলে ধরতে চাই, তাদের সকলকে সম্মানিত করতে চাই।’