ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, গতকাল তৃতীয় ধাপ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গেল। ভোট কেন্দ্রগুলোতে লাঠিসোটা নিয়ে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা দখল করে রেখেছে; যা আজকের প্রথম আলোসহ জাতীয় দৈনিকগুলো সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশিত করেছে। ভোটকেন্দ্রে থাকবে ভোটার কিন্তু চিত্র ভিন্ন। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতা জাতির ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনপণ সংগ্রাম করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও মাদকে জড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রনেতাদের নাম শুনলে সাধারণ মানুষ আঁতকে উঠে।
তিনি বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনকে গতানুগতিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে আদর্শিকভাবে গড়ে উঠে আগামী দিনের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে যোগ্যতা, দক্ষতা ও ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ রোববার বিকেলে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন মাগুরা জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাগুরা গণ-গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জেলা সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা নূরুল করীম আকরাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মোস্তফা কামাল। ইশা ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আকরাম হোসাইন, সেক্রেটারী হাফেজ মনিরুজ্জামন, মাওলানা মশিউর রহমানসহ জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে ২০২১ সেশনের জন্য মুহাম্মদ আব্দুর রহমানকে সভাপতি, মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে সহ-সভাপতি ও আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক মাগুরা জেলা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ভোট ডাকাতির মহড়া দিতেই নির্বাচন আয়োজনের নামে জাতির সাথে তামাশা করেছে সরকার। এভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। জনগণের ধৈর্যের সীমা আছে। এ সীমা লঙ্ঘণ হলে জনগণ নিরবে বসে থাকবে না। প্রয়োজনের জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি