সরকারের দেয়া লকডাউনের বিরোধিতা করে বিএনপি মানুষের ঘরে অবস্থানকে নিরুৎসাহিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভ্যাকসিন নিয়ে অপরাজনীতি করে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন লকডাউন নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে। বিএনপি’র দ্বিচারিতা বক্তব্য মানুষের ঘরে অবস্থানকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। তাহলে কী বিএনপি চায় না, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসুক?
দেশে গণতন্ত্র নেই বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে কী ভূমিকা পালন করেছে? পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক চর্চা করে তারা এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে। শেখ হাসিনা সরকার কোন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপর হস্তক্ষেপ করেনা। দেশের বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে কাজ করছে।
“জনগণ বিএনপির এই পশ্চাৎমুখী রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ আগামী বির্নিমাণের রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছে।”
অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অসহায়ত্ব নিয়ে রাজনৈতিক বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “অসহায় মানুষের জন্য ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনা সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে, কারণ জনগণের জন্যই রাজনীতি করেন শেখ হাসিনা। তাই জনগণের স্বার্থে কখন কী করতে হবে তা বঙ্গবন্ধু কন্যা ভালই বোঝেন , আর এজন্যই তিনি আজ দেশের জনগণের আস্থার ঠিকানা ও নির্ভরতার বাতিঘর।
“অপরদিকে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের অসহায়ত্ব নিয়ে রাজনৈতিক বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছে। তারা জনগণকে ভয় পায় বলেই জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস হারিয়েছে।”
দেশকে বিএনপি শূন্য করাই সরকারের লক্ষ্য, – বিএনপি নেতাদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রকৃতপক্ষে বিএনপি শূন্য করা নয়,সরকার চায় বিএনপি সত্যিকার অর্থে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুক। বিএনপি সহিংসতা, ষড়যন্ত্র আর অপরাজনীতি ছেড়ে জনমানুষের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসবে বলে আশা করছি।”
“অপরিণামদর্শী ও জনবিরোধী কর্মসূচির কারণেই বিএনপির রাজনীতি এখন গভীর সাগরে রাডারবিহীন জলযানের মত। তারা এখন পথহারা পথিক।”