কোভিড-১৯ সৃষ্ট বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বের অন্যতম ইসলামী মহাসম্মেলন ঐতিহাসিক চরমোনাই’র বার্ষিক মাহফিল ছিল অনেকটা অনিশ্চয়তার মুখে। মুজাহিদ কমিটির সদস্য-সমর্থক ছাড়াও সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে এমনটাই জল্পনা-কল্পনা ছিল যে চরমোনাই মাহফিল এবার হবে কিনা। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির মজলিসে খাসের বৈঠকে আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ অগ্রহায়ণ চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৭ অক্টোবর সংগঠনের সকল বিভাগীয় শাখায় সার্কুলার প্রেরণের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল খন্দকার গোলাম মাওলা।
অফিসিয়ালি গণমাধ্যমে কোন বার্তা না পাঠালেও বিভাগীয় শাখায় প্রেরিত সার্কুলার টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায়। এছাড়াও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকেও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি পোস্ট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর অগ্রহায়ণ ফাগুন মাসে চরমোনাইতে দুটি ঐতিহাসিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই মাহফিলে চরমোনাইয়ের মুরীদানসহ সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবছরই চরমোনাই মাহফিলের বয়ান শুনে হাজার হাজার মানুষের জীবনে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়। এবছর করোনাভাইরাস এর কারণে সারাদেশের এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো মাহফিল হতে দেখা যায় নি বিধায় চরমোনাই মাহফিল ও ছিল অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে। এমতাবস্থায় মাহফিল হওয়ার সিদ্ধান্তটি চরমোনাইয়ের ভক্তবৃন্দের মধ্যে আনন্দ নিয়ে এসেছে।
বিভাগীয় শাখাসমূহের প্রেরিত সার্কুলারটিতে উল্লেখ রয়েছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মাহফিলের ১৫ দিন পূর্বে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। আপাতত মাহফিল হবে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েই সামনে এগোচ্ছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি।