সন্ধ্যার পর কোনো ইয়াং ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীরা বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অভিভাবক নিয়ে বাইরে যাবে। এ ছাড়া শহর ও গ্রামের চায়ের দোকানগুলোয় টেলিভিশন থাকা চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শহর-গ্রামের দোকান বন্ধ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) রহিমা খাতুন এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছি। এ ছাড়াও গত মাসে আইনশৃঙ্খলা সভায় নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাংসহ জেলার নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ওই আলোচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অভিভাবক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী সন্ধ্যা সাতটার পর বাইরে থাকতে পারবে না।’
দোকানের টেলিভিশনের কারণে আড্ডা বেশি হয়। এতে যারা শিক্ষার্থী, তারা পড়াশোনা করে না। আর যারা পড়াশোনা করে না, কৃষক বা কাজ করে, তারা অনেক সময় ধরে এখানে অলস সময় কাটায়। ফলে তার পরিবারে কী হচ্ছে, তার ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখে না। এ কারণে চায়ের দোকানে টেলিভিশন রাখা যাবে না।
বৃহস্পতিবার থেকে আমরা মাইকিং করব। এ বিষয়ে আমরা প্রথম কয়েক দিন প্রচার–প্রচারণা চালাব। জনগণকে সচেতন করব। তারপরও যদি ইয়াং ছেলে-মেয়ে ও শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পরে বিনা কারণে বাইরে আড্ডা দেয়, তাহলে আমরা অভিযানে যাব। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব।
দোকানপাট বন্ধের সময় নির্ধারণ নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, পৌরসভার মধ্যে রাত ১০টা আর পৌরসভার বাইরে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। এরপর সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যেই রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ইয়াং ছেলেরা মুঠোফোনে জুয়া খেলে, পড়ালেখা বাদ দিয়ে আড্ডা দেয়। এভাবেই তারা একপর্যায়ে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ে। জেলার সব তরুণ, যুবক ও শিক্ষার্থীদের ভালোর দিকে এগিয়ে নিতেই আমাদের এই উদ্যোগ।’